অগ্নিকাণ্ডে বছরে ক্ষতি ২৪৪ কোটি টাকা

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ৮শ’৫৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৮শ’২২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ সময় উদ্ধার হয় প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জনের প্রাণহানি ও ২৬৭ জন আহত হন।

বৈদ্যুতিক গোলযোগে প্রায় ১৬০ কোটি, চুলার আগুনে ২৪ কোটি ও সিগারেটের টুকরা থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রধানত তিনটি কারণে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলার আগুন, ও সিগারেটের টুকরা থেকে অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের প্রমাণ পায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

সূত্র আরও জানায়, মোট ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে সর্বোচ্চ শতকরা ৩৯ ভাগ (৬ হাজার ৫শ’১৬টি), সিগারেটের টুকরায় শতকরা ২০ ভাগ (৩ হাজার ৪শ’৪৭টি) ও সিগারেটের টুকরা থেকে শতকরা ১৪ ভাগ (২ হাজার ৩শ’৫৭টি) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানের কাছে কাকরাইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতদরিদ্র মানুষের বসতবাড়ি, টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র ও পোশাক পরিচ্ছেদ পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খানবলেন, যেসব কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেগুলো সম্পর্কে দেশের মানুষের জনসচেতনতা কম থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, অজ্ঞতার কারণে মানুষ সহজেই দাহ্য এমন ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যাদি বাসাবাড়িতে অহরহ সংরক্ষণ করে। অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ও গ্যাসের লাইন ব্যবহার করে। যেখানে সেখানে সিগারেট খেয়ে ছুঁড়ে মারে।

তিনি বলেন, যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের পর মানুষের টনক নড়ে। কিন্তু একটু সচেতন হলে অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।



মন্তব্য চালু নেই