অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু, এলাকায় আতঙ্ক

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নে অজ্ঞাত রোগে মৃত্যুতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত এক মাসে কলমাকান্দার জামসেন গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল শুক্রবার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে।

মাসখানেক আগে জামসেন গ্রামে হঠাৎ অজ্ঞাত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। রোগটির লক্ষণ বসন্তের মতো। শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ব্যথা ও বসন্তের মতো কালচে গুটি গুটি দাগ দেখা দেয়। গুটি গুটি দাগের কারণে গ্রামবাসী ধারণা করছে- ‘এটি গুটি বসন্ত’। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জামসেন গ্রামের হাসিম উদ্দিনের মেয়ে ও জামসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মারুফা আক্তার (৯) মারা গেছে। এর আগে একই গ্রামের ফৌজদার মিয়ার মেয়ে ও একই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদা আক্তার (১২), ছেলে রবিকুল ইসলাম (৫), একই গ্রামের সমেদ আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৪২) ও রবন খানের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।

এ ছাড়া হাসিম উদ্দিনের ছেলে ওয়ালিউল্লাহ (৫), নয়ন মিয়ার ছেলে সাগর (৫), মেয়ে জাকিয়া আক্তার (৩), সজল মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২০), বাহাদুর (২), মেয়ে সোমাইয়া আক্তার (৮), রমজান আলীর মেয়ে হলুদা আক্তার (১২), আবুল কাসেমের ছেলে আলমগীর হোসেন (১০), আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আরিফ (৫) এবং পাশের বরুণখিলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়াসহ কমপক্ষে ২০ জন আক্রান্ত রয়েছে। তাদের পল্লী চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছে।

খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. বিজন কান্তি সরকারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল টিম আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা আক্রান্তদের শরীরের রক্ত, ক্ষত হয়ে যাওয়া চামড়াসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

নেত্রকোনা সিভিল সার্জন বলেন, এক মাসে ওই রোগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত রয়েছে কয়েকজন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এ রোগটির নাম ‘ম্যানিনজোকক্কাল ম্যানিনজাইটিস’। তবে রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে আলামত পাঠানো হচ্ছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত করে বলতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই