অতিথি পাখি শিকার করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের পিকনিক!

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সরকারি আইন অমান্য করে অতিথি পাখি শিকার করে পিকনিক করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পিকনিকের সেই ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আপ করেছেন তারা।

বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে যুবলীগ সভাপতি খালেকুজ্জামানের দলীয় অফিসে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবারের মতো দয়ারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ও ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের পরামর্শে দেশের প্রচলিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অমান্য করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেশ কিছু অতিথি পাখি শিকার করে আনেন তাদের কর্মী সমর্থকরা। পরে রাতে অতিথি পাখির মাংস দিয়ে খালেকুজ্জামানের দলীয় কার্যালয়ে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করা হয়।

শুধু তাই নয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তার ফেসবুক পেজে ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পালিত হল পাখি শিকার করে পিকনিক’ ক্যাপশন লিখে পিকনিকের খিচুড়ি ও পাখির মাংস ভোজনের বিভিন্ন ছবি আপলোড করেন।

বিষয়টি নিয়ে দয়ারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি খালেকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পিকনিকের কথা স্বীকার করেন তবে পাখি শিকারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘ছেলেরা মজা করে পাখির কথা উল্লেখ করেছে।’

তাহলে ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে খাবারের প্লেটে রান্না করা পাখির ছবি দেখা যাচ্ছে কেনো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওইটা অতিথি পাখি নয়, কোয়েল পাখি।

পাখি হত্যা করে পিকনিক করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ উল্লেখ করে নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দোষ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন্যপ্রাণী শিকার এমনিতেই দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও বন্যপ্রাণী হত্যা ও পিকনিক করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করে বড় ধরণের অপরাধ করা হয়েছে।

বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই