অতৃপ্ত আত্মার উপস্থিতি এই বাড়িতে!

গোয়ায় বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ কিন্তু গোয়া যে অশরীরীদের ডেরা সে কথা কয়জনই বা জানেন? ইতিহাসের পর্তুগিজ অধ্যুষিত ভারতের গোয়ায় আজও অনেক পুরনো প্রাসাদ, গির্জা ও বাড়ির সমাবেশ৷

প্রায় চতুর্দিকেই রয়েছে পুরানো দিনের গন্ধ যা মানুষকে ইতিহাসের কাছে নিয়ে যায়৷ কিন্তু শুধুই কি ইতিহাস? এই ইতিহাসেই লুকিয়ে রয়েছে কত নৃশংসতার কাহিনী যা হয়তো সকলেরই অজানা৷

আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষ সেসব হিংস্রতার কাহিনী জানেন না৷ আমাদের নজরে যা আসে তা হল অতৃপ্ত আত্মার উপস্থিতি৷ অশরীরীর ভীতিই সমস্ত কিছুকে অতিক্রম করে আমাদের জীবন বিপন্ন করে তোলে৷

এমনই ঘটনা ঘটেছিল গোয়ার একটি পরিবারের সঙ্গে৷ নাদিয়ার পরিবার গোয়ায় একটি পুরনো বাড়ি কেনে৷ পুরনো বাড়ি কেনার একটি কারণ ছিল নাদিয়ার বাবার৷ তাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছিল বেশি৷ তাই পুরনো কিন্তু বড় বাড়ি কেনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল৷

পুরানো সেই বাড়িতে নাদিয়া এবং তার পরিবার প্রথম কয়েকদিন বেশ আনন্দেই ছিল৷ কিন্তু সুখ তো বেশিদিন সওয়ার ছিল না! তাই বিপদ ঘনিয়ে এলো সকলের অজান্তে৷ একদিন রাতে ঘুমনোর সময় হঠাৎই নাদিয়া তার মা’কে কাতরভাবে গোঙাতে শোনেন৷

তার মা’র অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তার দম আটকে আসছে কোনওভাবে৷ অনেক কষ্টে নাদিয়ার মা বলেন ‘হে আল্লা’! ব্যস! তারপরই সব ঠিক৷ নাদিয়ার মা বলেন তার মনে হচ্ছিল কেউ যেন তার গলা টিপে ধরেছিল৷ তাই তার দম আটকে আসছিল৷

এই ঘটনাটিকে বাড়ির কেউ বিশেষ পাত্তা দেননি এবং তাই পরদিন সকালে তার বাড়ির লোকজন রোজকার মতোই অফিস চলে যান৷ কিন্তু নাদিয়া বুঝেছিলেন বাড়িতেই রয়েছে কোনও গোলমাল৷ পাশাপাশি, নাদিয়ার মা’ও বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলেন গোটা ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই৷ এরপর হঠাৎই আরও একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে খোদ নাদিয়ার সঙ্গে৷

ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় হঠাৎ এক অদৃশ্য শক্তি নাদিয়াকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়! নাদিয়ার এমন মনে হতে শুরু করে, কেউ যেন তাকে পিছন থেকে টেনে ধরছে৷ ঘটনাটি ঘটে নাদিয়া ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন৷ চিৎকার শুনে তার মা ছুটে এলেই নাদিয়া সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান৷

শুধু নাদিয়া বা তার মা’ই নন, বেঙ্গালুরু থেকে ঘুরতে আসা নাদিয়ার ছোটবোনও অশরীরীর খপ্পরে পড়েছিলেন৷ এরপর সমস্যার কোনওরকম সমস্যা খুঁজে না পেয়ে নাদিয়া ও তার পরিবার ওই বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন৷ ভয়ে আর কোনওদিন তারা ওই বাড়িমুখো হননি!



মন্তব্য চালু নেই