অনেক বছর পর তাঁরা দুজন…

তাঁরা দুজনই তারকা, তবে দুই ভুবনের বাসিন্দা। এরমধ্যে একজন সেলুলয়েডের জনপ্রিয় নায়িকা, অন্যজন ছোট পর্দার জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা। পাঠক, বলছি বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকা পূর্ণিমা ও ছোট পর্দার দক্ষ অভিনেতা জাহিদ হাসানের কথা। যদিও পূর্ণিমা চলচ্চিত্র অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে সংসারী হয়েছেন অনেক আগেই। তারপরও মাঝেমধ্যে তাকে নাটক ও বিজ্ঞাপনে দেখে মেলে। কিন্তু জাহিদ হাসান এখনও আগের মতই।

এই অভিনেতার অভিনয়ের দুত্যি যেন দিনে দিনে বেড়েই চলছে। পাঠক এত কথা বলার কারণই তো বলাই হলো না? অনেক বছর পর এ দুজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর টিভির কার্যালয়ে গতকাল দেখা হয়েছে। আর তাঁরা হয়ে গেলেন একই ফ্রেমে বন্দী। প্রায় ১৪ ঘণ্টা আগে অভিনেত্রী পূর্ণিমা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। আর এর শিরোনাম দিয়েছেন,‘ অনেক বছর পর জাহিদ ভাইয়ের সাথে।’

এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর পূর্ণিমা গত কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নির্মিত আরিফ খানের টেলিছবি ‘আমার বেলা যে যায়’ ও তুহিন হোসেনের খন্ড নাটক ‘প্রেম অথবা দুঃম্বপ্নের রাত-দিন’ নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘আমার বেলা যে যায়’ টেলিছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ। আর ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত-দিন’ নাটকে তার সহশিল্পী ছিলেন মোশাররফ করিম ও ইরেশ যাকের।

পূর্ণিমার প্রথম ছবি ‘এ জীবন তোমার আমার’ ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। এছাড়া তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল ছবি ‘মনের মাঝে তুমি’ ২০০৩ সালে মুক্তি পায়্। এছাড়া ‘মেঘের পরে মেঘ’‘হৃদয়ের কথা’ ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ ‘মাটির ঠিকানা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ পূর্ণিমা অভিনীত ২০১৪ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।

জাহিদ হাসান ৯০-এর দশক থেকে বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতাদের একজন। নাটক ছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়েও আসাধারন দক্ষতা দেখিয়েছেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত “শ্রাবণ মেঘের দিনে” তাঁর অভিনীত অন্যতম চলচিত্র । নাটক এবং চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধারার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি: তবে দর্শকের কাছে তাঁর অন্যান্য চরিত্রগুলোর পাশাপাশি কৌতুক চরিত্রগুলো বেশি আদরণীয়।



মন্তব্য চালু নেই