মাহফুজ আনাম-এর বিরুদ্ধে মামলা

অনেক বাদী নানা মামলার আসামি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা ভুল সংবাদ ছাপার কথা স্বীকার করায় দেশজুড়ে এরই মধ্যে দায়ের হয়েছে ৭৭টি মামলা। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এবং কিছু সমমনা আইনজীবীর দায়ের করা এসব মামলা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি আনুগত্যমূলক হলেও কিছু কিছু মামলার বাদীকে নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এদের অনেকেই স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন মামলার চিহ্নিত আসামি। এসব বাদীর কারও কারও বিরুদ্ধে চোরাচালান, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েও দলের ও জেলা আদালতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব লাভ, জেলা জজের কক্ষে লাথি মারা, যৌন হয়রানি, এলাকায় ক্যাডার বাহিনী গড়ে প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও স্পর্শকাতর ইস্যুতে মামলা করে নেত্রীর সুদৃষ্টি পাওয়ার আশাতেও আছেন কয়েকটি জেলার দল সংশ্লিষ্ট কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১টি রাষ্ট্রদ্রোহের ও ২১টি রাষ্ট্রদ্রোহের ও ৫৬টি মানহানিসংক্রান্ত। মানহানির মামলাগুলোতে মাহফুজ আনামের কাছে এক লাখ ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে সমন ও কোথাও কোথাও গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে মাহফুজ আনাম বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের দেওয়া সংবাদ ছাপানোর কথা স্বীকার করেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ করা ছিল বিরাট ভুল।’ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হয়ে উঠে। গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ওই টক শোর ভিডিও ক্লিপসহ এসংক্রান্ত সংবাদগুলো ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়। দেশে-বিদেশে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে কারণ, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর সরবরাহ করা ওই প্রেসনোট একইসময়ে বেশিরভাগ সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় ১১ ফেব্রুয়ারি ৩টি, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৩টি, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৭টি, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২১টি, ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬টি, ২২ ফেব্রুয়ারি আরও ২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ২১টি রাষ্ট্রদ্রোহের ও ৫৬টি মানহানিসংক্রান্ত। মানহানির মামলাগুলোতে মাহফুজ আনামের কাছে এক লাখ ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে সমন ও কোথাও কোথাও গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দায়ের করা মামলাগুলোর বাদী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, বাংলাদেশ প্রজন্ম লীগ, তরুণ লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ও আমরা মুজিব সেনার নেতা-কর্মীরা।এছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন জেলার আইনজীবী ও ঠিকাদাররাও এ সংক্রান্ত কিছু মামলা দায়ের করেছেন।

এর মধ্যে স্বামীর আদেশে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলা করার ঘটনাও ঘটেছে লালমনিরহাটে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলার বাদী সৈয়দা শিল্পী বেগম। আওয়ামী লীগের সমর্থক এই নারী তার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, স্বামীর নির্দেশে তিনি মামলাটি করেছেন। আর তার দাবি, স্বামী সৈয়দ বেলাল হাসান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। বেলাল এখন ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বেশিরভাগ মামলার অভিযোগও প্রায় একই রকম।অভিযোগে বলা হয়, এক এগারোর সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে মাহফুজ আনাম তার সম্পাদিত পত্রিকায় মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য প্রকাশ করেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।এ কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়। এতে তার দল ও মামলার বাদীদের মানহানি হয়েছে।

এমনকি এক আদালতে দায়ের করা মামলার কপি সংগ্রহ করে কেবল বাদীর নাম ও পরিচয় কেটে আরেক আদালতে মানহানির মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে। পঞ্চগড়ে করা আবেদনের কপিতে দেখা গেছে, আবেদনের (আরজি) বাদীর অংশে ঠাকুরগাঁওয়ের বাদীর পরিচয় ‘ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক’ লেখা। সেটি কেটে দিয়ে এর ওপরে ওভার রাইট করে ‘ দেবীগঞ্জ থানার আইন-বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক’ কথাটি লেখা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে দায়ের করা মানহানির মামলার বাদী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী। আর পঞ্চগড়ে মামলা দায়ের করেন দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।

কুমিল্লায় দায়ের করা মানহানির মামলা তিনটির এজাহার ও বিবরণ হুবহু এক, কেবল বাদীর নাম-পরিচয় ও মানহানির অংকের পরিমাণ ভিন্ন। মামলা তিনটি করেন মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি ও দাউদকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন। এর মধ্যে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করে তার ছয় মাসের শাস্তিও দাবি করেন মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলা দায়েরের প্রবণতা দেখে বোঝা যায়, বেশিরভাগ মামলাই মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলাগুলো দ্বারা প্রভাবিত এবং পরষ্পর সঙ্গতিপূর্ণ।

মামলা দায়েরকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, আমরা মুজিব সেনা ইত্যাদি সংগঠনসহ বিভিন্ন জেলার দল সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরাও রয়েছেন।

মামলা দায়েরকারীদের মধ্যে জেলা পরিষদ প্রশাসক, বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রও আছেন কয়েকজন। যেমন: চট্টগ্রামে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন। তিনি একই সঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলার চেয়ারম্যান।

আইনজীবী পরিচয়ে যারা মামলা করেছেন তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনজীবী যেমন আছেন, তেমনি দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলিও আছেন কয়েকজন। যেমন ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে নালিশি আবেদনটি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোস্তাফিজুর রহমান।রাজশাহীতে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলা দায়ের করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম। তিনি একইসঙ্গে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। পঞ্চগড়ে মামলা করেছেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মহসিন মিয়া।ঝালকাঠিতে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বনি আমিন। কক্সবাজারে দায়ের হওয়া মানহানি সংক্রান্ত দ্বিতীয় মামলাটির বাদী মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আজম বিএ। ২৩ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি করেন জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম। নেত্রকোনায় এসংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন নেত্রকোনা জেলা জজ আদালতের পিপি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম খান পাঠান।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা ব্যক্তিদের কারও কারও বিরুদ্ধে আবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার বাদী ও মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিনের বিরুদ্ধে খুনসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে, যশোরে দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে, খাগড়াছড়ির মামলার বাদী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমার বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, লক্ষ্মীপুরে দায়ের করা মামলার বাদী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মামলার বাদী এজাবুল হক বুলি আগে পৌর যুবদল সভাপতি ছিলেন, ২০০৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ছিল তবে এগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।এছাড়াও নড়াইলে দায়ের করা মামলার বাদী ও জেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স ম ওহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে খুনসহ একাধিক মামলা ছিল। এসব মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে পটুয়াখালীতে দায়ের হওয়া মামলার বাদী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার বসুর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলা দায়েরকারী নেত্রকোনা জেলা জজ আদালতের পিপি জি এম খান পাঠান নিজেও ছিলেন খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। স্থানীয় আইনজীবীরা জানান, বর্তমানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালনকারী এ প্রভাবশালী নেতার আপন শ্বশুর রং মিয়াকে খুন করার অভিযোগে ১৮ বছরের সাজা হয়েছিল। তবে ৫ বছর সাজা ভোগ করে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করায় দণ্ড মওকুফ হয় তার। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনও আসামির সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ বছর অতিবাহিত না হলে কোনওভাবেই বার কাউন্সিলের সনদ গ্রহণের অনুমতি না থাকলেও তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী থাকা অবস্থায় বার কাউন্সিল থেকে সনদ গ্রহণ করেছেন। তিনি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আরিফ খান জয়ের মামা।

এ ছাড়াও পঞ্চগড়ে দায়ের করা মামলার বাদী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম দেবীগঞ্জ পৌরসভায় দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি পেতেই এ মামলা করেছেন বলে এলাকায় প্রচারণা রয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেবীগঞ্জকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়েছে।

আর মামলার বাদীদের দলীয় পরিচয় ভিন্ন হলেও অধিকাংশই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার-দেশজুড়ে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে এমন তথ্যও। বাংলা ট্রিবিউন



মন্তব্য চালু নেই