অন্যরকম ফুটবল জাদুকর

নগরীর ব্যস্ততম রাস্তায় হঠাৎ করে মাথায় ফুটবল নিয়ে দুই হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল মো. মাসুদ রানা (৩২)। আর তার এ ধরনের কার্মকাণ্ড দেখতে ক্ষণিকের জন্য থেমে যায় রাস্তায় চলাচল করা গাড়ি ও রিকশাসহ সাধারণ জনগণ। এছাড়াও চলন্ত মোটরসাইকেলে মাথায় বল নিয়ে দুই হাত ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায় সেই যুবক। সাধারণ জনগণ তাকে উপাধি দেয় ফুটবল যাদুকর।

বুধবার বিকেলে শহরে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা থেকে শহরের মিশনপাড়া এলাকা পর্যন্ত ফুটবল জাদুকর সাধারণ মানুষের মধ্যে এ খেলা দেখায়।

মাসুদ রানা জানান, তার বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার বরুনা এলাকার মৃত সামসুর রহমান মোল্লার ছেলে। তারা তিন ভাই ও দুই বোন। তিনি বিভিন্ন জেলায় জেলা ঘুরে ফুটবল খেলা দেখান। যার বিনিময়ে মানুষ খুশি হয়ে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। আর তা দিয়েই তার সংসার চলে।

মাসুদ রানা আরো জানান, তিনি এক সময় ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন। খুলনা জেলার টাউনক্লাবের পক্ষে অনেক দিন খেলেছেন। শুধু তাই নয়, মোহামেডান ও আবাহনীসহ বিভিন্ন ক্লাবে হয়েও ফুটবল খেলেছেন। শুধুমাত্র টাকার অভাবে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে তিনি বাধ্য হয়ে ফুটবল খেলা ছেড়ে দেন। পরে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চেষ্টা করে এ ফুটবল নিয়ে বিভিন্ন খেলা রপ্ত করতে শিখেছেন। তিনি ১৬টি ফুটবল নিয়ে একসঙ্গে খেলা দেখাতে পারেন। ফুটবল নিয়ে নদীতে বিভিন্নভাবে সাঁতার কাটতে পারেন। ফুটবল মাথায় নিয়ে নারকেল গাছে চড়তে পারেন। একসঙ্গে সাতটি ফুটবল নিয়ে হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালাতে পারেন। এছাড়াও ফুটবল মাথায় নিয়ে এ পর্যন্ত একটানা ৭৪ কিলোমিটার রাস্ত হেঁটে বেড়িয়েছেন।

মাসুদ রানা আরো বলেন, ‘একটা সময় ফুটবল আমার স্বপ্ন ছিল এখন পেশা হয়ে গেছে। ফুটবল খেলা পছন্দ করি তাই প্রতি জেলায় ফুটবলের জন্য মানুষকে এ খেলা দেখাই। তারই অংশ হিসাবে এ প্রথম নারায়ণগঞ্জে আসছি। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় খেলা দেখিয়েছি।’

মাসুদ রানা নিজের স্বপ্নের কথা সম্পর্কে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক খেলা চলার সময় খেলা শুরুর আগে ও খেলার বিরতিতে আমি মাঠে এ খেলা দেখিয়েছি। এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপের মতো বড় বড় আন্তর্জাতিক খেলায় বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেশের বাইরে এ খেলা দেখানোর সুযোগ যদি পাই।’বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই