অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি

আল্লাহ তাআলা হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের সময়কার ইয়াহুদিদের জন্য শনিবারকে ইবাদাতের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করেন। কিন্তু তারা কিছু এ হুকুম অনুযায়ী চলার পর তাদের মধ্যকার কিছু কৌশল অবলম্বন করে আল্লাহর হুকুমের লঙ্ঘন করে। এ কৌশল অবলম্বনকে কেন্দ্র করে তারা তিন দলে বিভিক্ত হয়ে পড়ে। যা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য শিক্ষণীয়।

প্রথম দল- যারা আল্লাহ হুকুম লঙ্ঘন করে শনিবারে মাছ শিকারের অপকৌশল গ্রহণ করায় তারা আল্লাহর শাস্তির সম্মুখীন হয়। তাদের সকলকে বানরে পরিণত করা হয়। তাদের পুরুষরা বড় বড় বানরে পরিণত হয়। স্ত্রীরা বানরীতে রূপান্তরিত হয় এবং শিশুরা ছোট বানরে পরিণত হয়।

দ্বিতীয় দল- যারা তাদের মধ্যকার অন্যায় কৌশল গ্রহণকারীদের আল্লাহর অবাধ্য হওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেনি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করেনি। তারাও আল্লাহর গজবে নিপতিত হয় এবং বানরে পরিণত হয়। কারণ তারা তাদের সম্মুখে সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাই ছিল তাদের অপরাধ।

তৃতীয় দল- যারা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এবং অন্যায়কারীরা তাদের প্রতিবাদের পরেও আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তাদের বাসস্থানের মধ্যে চলাচলের রাস্তা ছাড়া সীমানা তৈরি করে আলাদা হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তাআল তাদেরকে এ গজব থেকে হিফাজত করেন।

তাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সামনে যদি কোনো অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ, তবে হাত দ্বারা বাধা দাও, সামর্থ না থাকলে মুখ দ্বারা বাধা দাও, যদি তাও সামর্থ না থাকে তবে অন্তরে ঘৃনা করো। (অন্তরে ঘৃণার মানে হলো এ অন্যায় থেকে বিরত রাখতে নিরবে গোপনে অন্যায়ের প্রতিরোধমূলক কাজ চালিয়ে যাও) আর এটা হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচয়।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর অবাধ্য হওয়া থেকে হিফাজত করুন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই