অন্যের বউয়ের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া : অতঃপর

কুমিল্লায় স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে ৩ সন্তানের জননী রুমা আক্তার (২৮)কে গলাটিপে হত্যা করেছে। সোমবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কেশনপাড় এলাকায় এ ঘটনা। নিহত রুমা আক্তার কেশনপাড় এলাকার চালক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী ও জেলার চান্দিনা উপজেলার নিমসার মাধবুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের কন্যা। ঘাতক স্বামী গাড়ী চালক জসিম উদ্দিন (৪০) পলাতক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার ৩টি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে এনামূল পঞ্চম ও মেঝছেলে শুভ তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে এবং ছোট ছেলে ৭ মাসের পুত্র সন্তান সাঈদ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়- সদর দক্ষিণ উপজেলার কেশনপাড় (বাঁশপুর) এলাকার আবুল হাসেমের পুত্র গাড়ি চালক জসিম উদ্দিন একই এলাকার এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী রুমা আক্তার বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়াও জসিম উদ্দিন রুমা আক্তারের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের কাছে টাকা হাওলাদ চাইতো, টাকা না পেলে তার উপর নির্যাতন চালাতো।

সোমবার রাতে একই ঘটনা নিয়ে দু জনের মধ্যে ঝগড়া ও বিরোধ শুরু হলে কথা কাটাকাটির সময় রুমা আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রুনা আক্তারের গলাটিপে হত্যা করে লাশ তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে রাত ৯টায় তার পরিবারের লোকজনদেরকে খবর দিলে নিহতের মা মিনুয়ারা বেগমসহ স্বজনরা তার বাড়িতে গিয়ে লাশ দেখতে পায়। পরে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এসআই নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘাতক স্বামী চালক জসিম উদ্দিন পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নিহতের মা মিনুয়ারা বেগম বলেন- আমার সন্তান রুনা আক্তারকে জামাই জসিম উদ্দিন টাকার জন্য প্রায়ই মারধর করতো। তিনি আরও বলেন ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য জসিম উদ্দিন আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছে টাকা হাওলাদ চাইতো। তাতে না পেয়ে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালাতো। তিনি আরও বলে জসিম উদ্দিন এলাকার অন্যের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। সোমাবার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমার ৩টি নাতি রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি এখন শঙ্কিত।

এসআই নাসির উদ্দিন বলেন- অর্ধ ঝুলন্ত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি প্রশান্ত পাল বলেন- গৃহবধূকে হত্যার খবর আমরা পেয়েছি। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের মা মিনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই