অপূর্ণ স্বপ্নের সামনে জকোভিচ

সুইস দুই নাম্বার ওয়ারিঙ্কা ছিলেন ফাইনালে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর অপেক্ষায়। শুক্রবারের ঝড় সেই নামটা জানতে দেয়নি। শনিবারের কোর্টের টেনিস ঝড় জানিয়ে দিল, সেই নামটা সময়ের সেরা তারকা নোভাক জকোভিচই।

শুক্রবার ঝড়ের সময় নোভাক জকোভিচের পক্ষে স্কোর ছিল ৬-৩, ৬-৩, ৫-৭, ৩-৩। সেই ম্যাচ শনিবার শেষ হল পাঁচ সেটে গিয়েই। স্কোর জোকারের পক্ষে ৬-৩, ৬-৩, ৫-৭, ৫-৭, ৬-১। টানা ২৮ ম্যাচ জেতাও হয়ে গেল জকোভিচের। রবিবার ফরাসি ওপেন জিতলে অষ্টম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে চারটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতে ফেলবেন।

কোয়ার্টার ফাইনালে রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরারের হারের সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফরাসি ওপেন এবার ছেলেদের বিভাগে নতুন বিজয়ী পেতে চলেছে। সেই ট্রফির জন্য রবিবার লড়াই সার্বিয়ান জকোভিচের সঙ্গে সুইস ওয়ারিঙ্কার। ৮টি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা হলেও এখনও ফরাসি ওপেন জেতেননি তিনি। এবার জিতলে এটাই হবে প্রথম। মুখোমুখি সাক্ষাতের হিসেব যে ম্যাচকে এখনই কিছুটা হেলিয়ে রাখছে জোকারের দিকে। ২০টি ম্যাচে জকোভিচ জিতেছেন ১৭টি।

শনিবার ম্যাচ শুরু হওয়ার পর মারে-জকোভিচ দু’জনকেই দেখা যাচ্ছিল চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। নিজের সার্ভিসে কেউ পয়েন্ট খোয়াতে রাজি ছিলেন না। তার মধ্যেই প্রথম ভুলটি করেন জকোভিচ। চতুর্থ সেট ৫ -৫ গেমে থাকার সময় সার্বিয়ান তারকার ভুলে সেই গেমে সার্ভিস ভাঙেন মারে। সেটটিও স্কট তারকা দখলে নিয়ে নেন ৭-৫। পঞ্চম সেটে এ বছরের চেনা ফর্ম দেখাতে শুরু করেন জকোভিচ।

মারের কথায়, ‘ফাইনাল সেটের প্রথম গেমে একটা ভুল করে ফেলি৷ তারপর নোভাক কিছুটা রিল্যাক্সড হয়ে যায়৷ আর একেবারে নিখুঁত ভাবে শট মারতে থাকে।’ মারের চ্যালেঞ্জ দমিয়ে জেতার পর জকোভিচের গলায় মারের প্রশংসা , ‘আমি চেয়েছিলাম আরও আগেই ম্যাচটা শেষ করতে। কিন্তু মনে হয় না, আমি সে রকম কোনও ভুল করেছি। এমনকি আজকের চতুর্থ সেটেও। মারে কিছু দুর্দান্ত শট মেরে পয়েন্ট তুলে নিয়েছিল।’

সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন, ‘আমি খুব খুশি যে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেই শেষ করেছি।’ রবিবার ফাইনালে জোকারের প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জেতার সুযোগ। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর ওয়ারিঙ্কাকে অনেক বিশেষজ্ঞ ‘বিগ ফাইভ’-এ অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর সুইস দু’নম্বর তারকা এই দ্বিতীয়বার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে। যেখানে তাঁর সামনে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ফর্মে থাকা জকোভিচ। লাল সুরকির কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামের স্বাদ তো জকোভিচের কাছেও অধরা!



মন্তব্য চালু নেই