অফিস থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

ভারতের পাঞ্জাবের একটি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অপহরণের সময় নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে জোরাজুরি ও সহযোগিতার জন্য চিৎকার করলেও সহকর্মী বা পথচারীদের কেউই তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। এমনকি থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ ৫দিন পর এফআইআর গ্রহণ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে চেহারা স্পষ্ট চেনা গেলেও একমাস পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ মার্চ ভারতের পাঞ্জাবের মুক্তসার এলাকায়। তরুণীর অফিসের পাশের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে অফিস থেকে তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৪ বছরের তরুণী কাজ করছিলেন একটি কম্পিউটার সেন্টারে। হঠাৎ করে সেখানে উপস্থিত হয়ে অফিস তাকে হাত ধরে জোর করে বের করে নিয়ে যান এক যুবক। এ সময় অফিসের কোনও সহকর্মী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। শুধু তাই নয়, অফিস থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সড়কে প্রায় ১০০ মিটার তাকে টেনে নিয়ে যান ওই যুবক। এ সময়ও তাদের আশপাশ দিয়ে যাচ্ছিল একাধিক যানবাহন। নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে জোরাজুরি ও সাহায্যের জন্য চিৎকার করার পরও কেউ তরুণীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।

ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার কয়েকজন সহকর্মী বাইরে বেরিয়ে আসেন।

ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তুলে নিয়ে যাওয়ার তাকে একটি ফার্ম হাউসে রাখা হয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। একদিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তরুণী জানান, ছাড়া পাওয়ার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা টালবাহানা করে। ঘটনার ৫দিন পর পুলিশ এফআইআর গ্রহণ করে।

পুলিশ জানায়, অপহরণকারী তরুণীর পূর্ব পরিচিত। তাদের বাড়ি একই গ্রামে। অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অপহরণকারীকে আরেক ব্যক্তি সহযোগিতা করেছেন।

এফআইআর গ্রহণে দেরি ও ধর্ষক-অপহরণকারীকে গ্রেফতারে পুলিশের ব্যর্থতার জন্য ওই দলিত তরুণী ও তার বাবা ভারতের জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনকে ঘটনাটি জানান। এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে মুক্তসার এলাকার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।



মন্তব্য চালু নেই