অফিস পাড়ায় ঈদের আমেজ

ঈদুল আজহার টানা ছয়দিনের ছুটি শেষ হয়েছে আজ। খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও অফিস-আদালত। ঈদের পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবস শুরু হলেও রাজধানীর অফিস পাড়ায় বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা নেই। কমকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। তবে ব্যাংকগুলোতে লেনদেন চলছে স্বাভাবিক কার্যদিবসের মতোই।

মতিঝিল ব্যাংক পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ব্যাংকেই অলস সময় কাটছে কর্মকর্তাদের। গ্রাহক ও কর্মকর্তাদেরও ঈদের কুশলবিনিময় করে সময় কাটাতে দেখা গেছে। একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যস্ততা কম থাকায় গল্প গুজবে সময় পার করছেন অনেকে।

তবে ক্যাশ কাউন্টারে উল্টো চিত্র। দীর্ঘ ছয়দিনের ছুটির পর নগদ অর্থ তুলতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকেও ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। বেশিরভাগ বিভাগ ফাঁকা দেখা গেছে। যারা এসেছেন তারা নিজেদের মধ্যে কুশলবিনিময় আর আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত।

রাজধানীর সচিবালয় ও আদালত পাড়া অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ঈদের ছুটির পর সপ্তাহের মাত্র একদিন কার্যদিবস হওয়ায় অনেকে একদিন বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তাই রোববার থেকে আবারও কর্মব্যস্ত হয়ে যাবে রাজধানীর অফিস পাড়া।

সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ফনীন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, ছয়দিন ছুটির পর আজ ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। প্রথমদিন প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মকর্তা -কর্মচারীর উপস্থিতি রয়েছে। কারণ অনেকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আছেন। রোববারের মধ্যে চলে আসবেন সবাই।

লেনদেনের বিষয়ে ফনীন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, স্বাভাবিক দিনের মতোই আজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ছোট অংকের লেনদেন বেশি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় বড় ধরনের কোনো লেনদেন হচ্ছে না। তাই অন্যান্য বিভাগে তেমন কর্ম ব্যস্ততা না থাকলেও ক্যাশ কাউন্টারে সকাল থেকে ভিড় ছিল।

এদিকে ব্যাংক বীমা খুললেও এখনো বন্ধ রয়েছে দেশর পুঁজিবাজার। ১৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন এবং দাফতরিক কার্যক্রম শুরু হবে।

ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ উপস্থিত আছেন। লেনদেন খুব বেশি হচ্ছে না। যারা এসেছেন তাদের লেনদের সাথে গল্প করে সময় পার হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই পূর্ণ আমেজে লেনদেন শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা ১৩ সেপ্টেম্বর হওয়ায় নির্বাহী আদেশে ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর পরিবর্তে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্যাংকসহ অফিস-আদালত খোলা থাকবে। আর একদিনের বাড়তি সরকারি ছুটি যুক্ত হওয়ার কারণে ব্যাংক, বীমা, অফিস-আদালত ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় টানা ছয়দিন ঈদের ছুটির ফাঁদে পড়ে দেশ।



মন্তব্য চালু নেই