অবশেষে পাকিস্তানে ‘হিন্দু বিয়ে আইন’ হলো

অবশেষে পাকিস্তানে ‘হিন্দু বিয়ে আইন’ হলো। তবে গোটা পাকিস্তানে নয়, এই আইন প্রথম হলো সিন্ধু প্রদেশে। সোমবার এ-বিষয়ক বিল পাস হয়েছে প্রাদেশিক পরিষদে।

ডন অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয়। কিন্তু এত দিনেও দেশটিতে হিন্দু বিয়ের কোনো বিধিবদ্ধ আইন ছিল না। এবার তা হলো, তবে খ-িতভাবে। শুধু সিন্ধু প্রদেশে এই আইন কার্যকর হচ্ছে। সোমবার সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে হিন্দু বিয়ে বিল ২০১৬ পাস হয়।

২৯৯৮ সালে পাকিস্তান আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ২৫ লাখ হিন্দু বাস করে। তবে ডনের খবরে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৩ লাখ। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় প্রায় ৪৪ লাখ হিন্দু পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে যায়।

সোমবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং সিন্ধুর আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী নিসার আহমদ খুহরো প্রাদেশিক পরিষদে বিলটি উত্থাপন করেন। সংসদে বিতর্ক শেষে বিলটি পাস হয়।

পাকিস্তানে মুসলিমদের পরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে হিন্দুদের অবস্থান। সংখ্যায় অনেক হলেও এতদিন বিয়ের জন্য তাদের সংবিধিবদ্ধ কোনো আইন ছিল না। যে কারণে নানা সমস্যায় পড়তে হতো হিন্দু নারীদের। বিয়ের প্রমাণ হিসেবে কোনো দলিল না থাকায় নারীদের সহজে ঠকানোর সুযোগ নিয়ে এসেছে হিন্দু পুরুষরা। তা ছাড়া সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতেও ঝক্কি পোহাতে হতো তাদের। বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণে তাদের বিপত্তির শেষ ছিল না।

সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু নারীরা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের একটি আইনগত ভিত্তি পেল, যাকে সাধুবাদ জানিয়েছে পাকিস্তানের হিন্দুরা। এখন দাবি উঠেছে, দেশজুড়ে এই আইন কার্যকরে হিন্দু নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক।

নতুন আইন অনুযায়ী, হিন্দু ছেলে ও মেয়ের বসয় ১৮ বছর হলে তারা বিয়ের উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। বিবাহিত দম্পতিদের বিয়ের সনদ সংগ্রহ করতে হবে, না হলে তাদেরকে জরিমানা করা হবে।

অগ্নিপূজারী এবং শিখ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদেরও বিয়ের বৈধতা হিসেবে বিয়ের সনদ নিতে হবে। তা না হলে তাদেরও জরিমানার মুখে পড়তে হবে।



মন্তব্য চালু নেই