অবশেষে বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের রহস্যের সমাধান!

পৃথিবী রহস্যময় স্থানগুলোর নাম এলে প্রথম দিকেই উচ্চারিত হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কথা।আটলান্টিক মহাসাগরের এই রহস্যের জালে পড়ে হারিয়ে গেছে অনেক জাহাজ, উড়োজাহাজ। তবে বরাবরই সেসব দুর্ঘটনার জন্য অলৌকিক কারণকেই দায়ি করা হয়েছে। এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন সমাধান হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যের।

মিয়ামি, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডার মধ্যে অবস্থিত রহস্যময় স্থান সেই প্রাচীন কাল থেকেই রহস্য হয়েই থেকেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দেওয়া নতুন তথ্যানুযায়ী, আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে ষড়ভূজ মেঘের উৎপত্তি ও গঠনই জাহাজ ও বিমানের গায়েব হওয়ার পিছনে দায়ী।

রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বিজ্ঞানীদের বরাতে জানাচ্ছে, এই অঞ্চলে ষড়ভূজী মেঘ এমনভাবে জমাট বাঁধছে যে তার ফলে ‘বায়ুবোমা’ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতি ঘন্টায় ২৭৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। যার ক্ষমতা রয়েছে পানিতে ভাসা বড় জাহাজ অথবা আকাশে ওড়া বিমানকে সমুদ্রের বুকে আছড়ে ফেলার।

এই ধরনের বায়ুর গোলা সমুদ্রের উপরে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরণ করে, ফলে তুমুল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় যা এই অঞ্চলকে অশান্ত করে তোলে। ফলে ডুবে যায় জাহাজ নিখোঁজ হয়ে যায় বিমান।

বিষয়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদ ডা. রেন্ডি কারভেনি বলেন, ষড়ভুজাকৃতির বায়ুবোমা গুলোকে মাইক্রাবাস্ট্রস বলা হয় এবং তারা বায়ুতে বিস্ফোরিত হয়। এগুলো ঘণ্টায় ২৭৩ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে যা হারিকেনের মতো গতি এবং এগুলো জাহাজ এবং বিমানকে ডুবিয়ে ফেলতে সক্ষম।

পনের শতকে ক্রিস্টোফার কলম্বাস থেকে শেুরু করে অনেক লেখকই তাদের বর্ণনায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে রহস্যময় স্থান হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে নতুন এই ব্যাখ্যায় সেই রহেস্যর জট খোলে কীনা তা দেখতে অপেক্ষায়ই থাকতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই