অবশেষে মাইকিং…

অবশেষে মাইকিং। প্রথম ২টি রোজা বাদ থাকলেও রোজাদারদের ঘুম থেকে জাগাতে ৩য় রোজা অর্থাৎ ২য় রোজার দিবাগত রাত থেকে মাইকিং শুরু হলো।
বিগত কয়েক বছর যাবত সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌরসদরসহ বিভিন্ন এলাকায় রমজান মাসে প্রতি রোজার আগের গভীর রাতে রোজাদারদের ঘুম থেকে জাগাতে ও সচেতন করতে মাইকিং করে থাকে স্বেচ্ছাসেবকরা। ভ্যান নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুরে ঘুরে মাইকিং করার ফলে রোজা রাখার নিয়তে থাকা মুসল্লিদের ঘুম থেকে জাগতে তেমন বেগ পেতে হতো না। পাশাপাশি সচেতনতার সাথে সেহেরি খেতে পারতো।
কিন্তু হঠাৎ-ই চলতি রমজানের প্রথম দু’টি রোজায় এর ব্যতিক্রম ঘটলো কলারোয়াতে। অজ্ঞাত গুজব, আশংকা আর রটনায় বিভিন্ন এলাকার স্বেচ্ছাসেবকরা রমজানের শুরুতে এবার আর মাইকিং করলো না। মাইকিং থেকে বিরত থাকায় সামান্য হলেও অসুবিধায় পড়লো রোজাদাররা।
তবে ওই গুজব কিংবা রটনা পৌছে গেলো উপজেলা প্রশাসনের কানেও। বসে থাকলেন না তারা। গুজবকে গুজব বলে-ই সচেতনতা মূলক মাইকিং করে প্রচারণা করলো উপজেলা প্রশাসন। শনিবার ২য় রোজার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সরকার ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অপ্রচার থেকে বিরত থাকতে এবং রোজদারদের ঘুম থেকে জাগাতে সেহেরির সময় শান্তিপূর্ণ ভাবে মাইকিং করা যাবে বলে প্রচারণা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের এ’ ঘোষনায় আশ্বস্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা ২য় রোজার দিবাগত রাত থেকেই ৩য় রোজার জন্য রোজাদারদের ঘুম থেকে জাগাতে মাইকিং শুরু করেছে। আর এ’ প্রচারণায় যেমন সুবিধা পাচ্ছেন রোজার নিয়তকারিরা তেমনি সচেতন হতে পারছেন অন্যরাও।



মন্তব্য চালু নেই