অবশেষে মুক্তি পেলেন ৯৩দিন অনশনকারী সাংবাদিক

ইহুদিবাদী ইসরাইলের কারাগারে টানা তিন মাস অনশন পালনকারী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মদ আল কিক অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইসরাইলের নাহফা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রকে জানিয়েছে তার পরিবার। মুক্তি পেয়ে পশ্চিমতীরের আল খলিল শহরের চেক পয়েন্ট দিয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছার পর তার আত্মীয়-স্বজন ও সহকমীরা তাকে স্বাগত জানান।

অবৈধভাবে আটক এবং মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে ৯৩ দিন অনশন করে রেকর্ড সৃষ্টিকারী সাংবাদিক মুহাম্মদ আল কিক ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক সমঝোতার পর অনশন ভঙ্গ করেন। চলতি মে মাসের ২১ তারিখে তার মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সরকারি ছুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের দু দিন আগেই গতকাল তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২১ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন সৌদি আরবভিত্তিক আলমাজিদ টিভি নেটওয়ার্কের সাংবাদিক মুহাম্মদ আল কিক (৩৩)। আটক হওয়ার চার দিন পর থেকেই তিনি অনশন শুরু করেন। টানা তিন মাস তাকে কৃত্রিমভাবে তরল খাবার খাইয়ে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে তার শরীর একেবারে ভেঙে পড়ে। কয়েকবারই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

ফিলিস্তিনি বন্দি সংস্থার প্রধান কাদুরা ফারিস অভিযোগ করেন, আল কিক অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার কোনো চিকিৎসাব্যবস্থা নেয়নি ইসরাইল কর্তৃপক্ষ।

সাত হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে ইসরাইলের ১৭টি কারাগারে আটক রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫০০ ব্যক্তি ইসরাইলের অবৈধ প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির আওতায় আটক রয়েছেন। প্রশাসনিক আটকাদেশ এমন একটি নীতি যার আওতায় যেকোনো ফিলিস্তিনিকে বিনা বিচারে বা অভিযোগ কারাগারে আটক রাখতে পারে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের কেউ কেউ ইসরাইলের কথিত প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির আওতায় আট, ১০ এবং এমনকি ১১ বছর পর্যন্ত আটক রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই