অবশেষে রনি তালুকদারের অভিষেক

গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন রনি তালুকদার। এরপর গত মাসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও ছিলেন তিনি। তবে দুই সিরিজের কোনোটিতেই ব্যাট হাতে মাঠে নামা হয়নি ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলা রনির।

শেষ অব্দি টানা ৮টি ম্যাচে ডাকআউটে বসে থাকা রনির অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ও শেষ টোয়েন্টি২০ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে নারায়ণগঞ্জের এই ক্রিকেটারের। ৪৭তম টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে রনির।

তবে এই ম্যাচটি রনির জন্য অগ্নি পরীক্ষাই বটে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে পারফরম্যান্স না করায় তাকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই ম্যাচটি রনির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষেই দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের জয়ের পর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ দাপটের সঙ্গে খেলে ৭ উইকেটে জয় পায়। জিতে নেয় ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আর শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে মাটিতে নামিয়ে এনে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ সফরে আসে ভারত। এই সিরিজে ১৪ জনের স্কোয়াডে সুযোগ পান রনি তালুকদার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হোম সিরিজের আগে ইনজুরিতে পড়ায় রনির অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু লিটন দাস টেস্টে ভাল করায় ওয়ানডে ম্যাচেও সুযোগ করে নেন।

ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৪৪ রান করে ওয়ানডে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করে ফেলেনি লিটন। তাতেই কপাল পোড়ে রনির! রঙিন জার্সিতে প্রথম ম্যাচে ৮ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রান করে জয়ে অবদান রাখেন লিটন। একই সঙ্গে মুশফিক উইকেট কিপিং না করায় উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে হয় লিটনকে। হতাশ করেননি লিটন। ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে গ্লাভসে হাতে দাঁড়িয়েছেন।

আস্থার প্রতিদান দেওয়ায় ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও খেলেন লিটন। পরপর দুই সিরিজ সাইড বেঞ্চে বসেই পার করতে হয় নারায়ণগঞ্জের এই ওপেনারকে। তবে দলে জায়গা না পেলেও স্কোয়াডে থেকে নিয়মিতই অনুশীলন করছেন রনি তালুকদার। সাকিব-তামিম ও মুশফিকের সঙ্গে থেকে অভিজ্ঞতার সঞ্চার তো হচ্ছে! শুধু তা-ই নয়, দুই প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ স্কোয়াডে থেকেই পান ডানহাতি টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।

এর ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টোয়েন্টি২০ স্কোয়াডে দলে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ না হলেও দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে সোহাগ গাজীর বদলে সুযোগ পান রনি।

উল্লেখ্য, গত বছর জাতীয় প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ২৪ বছর বয়সি রনি তালুকদার। ২টি সেঞ্চুরিসহ ৫১.০ গড়ে ৭১৪ রান করেছেন নারায়ণগঞ্জের এই ওপেনার। এ ছাড়া জাতীয় ক্রিকেট লিগেও তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৭০.৬৩ গড়ে ৭৭৭ রান করেছিলেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই