অবাক কাণ্ড, এই হোটেলে খাবার এগিয়ে দেয় বানর ওয়েটার!

অবাক করা এক হোটেল৷ এখানে সর্বদা গ্রাহকদের সেবা করতে প্রস্তুত রয়েছে একদল বানর ওয়েটার!

কোনো হোটেল অথবা রেস্তোঁরার সুনাম তার খাবারের সাথে সাথে গ্রাহক সেবা নির্বর করে সেই হােটেলের কর্মীদের ব্যবহারের উপরেও। আপনি যদি কোনো ভালো রেস্তোঁরায় খেতে যান, তাহলে সেখানকার ওয়েটারদের চাকচিক্য দেখেন৷ হোটেল থেকে বেরিয়ে তাদের কথা ভুলেই যান৷ তবে এই হোটেলে খেলে এদের ওয়েটারদের কথা সারাজীবন মনে রাখবেন৷ লালমুখো বিচ্ছু বানর দিব্বি লাফিয়ে লাফিয়ে আপনার অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে দেবে৷ এমনই বিশেষ পরিচিতি রয়েছে জাপানের কায়াবুকিয়া তাভেরান রেস্তোঁরার৷ এখানকার বানর ওয়েটারদের কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়া জুড়ে৷

মনে করুন আপনি এই হোটেলে গিয়েছেন৷ কী করবে ওয়েটার? প্রথমেই লাফ দিয়ে এসে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে৷ তারপর টেবিলে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দেবে৷ চমক তারপরেও আছে৷ সেই লালমুখো বানর ওয়েটারের কর্মকাণ্ড দেখে আপনি অবশ্যই মুগ্ধ হবেন। যেই না টেবিলে বসলেন সঙ্গে সঙ্গে একটা রেট চার্ট বা মেনু কার্ড নিয়ে হাজির বিচ্ছুটা৷ অার সেই মেনুকার্ড বাড়িয়ে দিল আপনার দিকে৷ অবাক হয়ে সেটা নিয়ে আপনি পছন্দের খাবার বা পানীয় অর্ডার দিলেন৷ লাফাতে লাফাতে সেই অর্ডার নিয়ে কাউন্টারে চলে গেল বানরটা৷ একটু পরে আপনার অর্ডার দেয়া সেই খাবার টেবিলে সাজিয়ে দিল। কোথাও কোনো রকমের কমতি থাকবে না। সব নিখুঁত ভাবে করে দিবে তারা৷ খেতে খেতে হাত মোছার জন্য একটা তোয়ালে চাইলেন৷ ইশারা করতেই বানর ওয়েটার লাফ দিয়ে তোয়ালে নিয়ে চলে এল৷

খাওয়া শেষ হলে আপনার কাছে বিল নিয়ে আসতেই আপনি তা মিটিয়ে দিলেন৷ খুচরা টাকা ফের ফেরত দিয়ে গেল ওয়েটার বানর মশাই৷ ভয় নেই কোনো টিপস দিতে হবে না৷ বরং একটু আদর করে দিন, দেখবেন ও কত খুশি হয়েছে৷

বেশ মজার এই কায়াবুকিয়া তাভেরান রেস্তোঁরা৷ আর তার বানর ওয়েটার৷ আসলে এই পদ্ধতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে উন্নতির শিখরে ওঠা জাপানের আর্থিক অবস্থা কতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে। মন্দার কারণে প্রতিনিয়ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। এসবের মাঝেই রেস্তোঁরা মালিকেরা বানর ওয়েটার দিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন৷ আর এতে তাদের বেতন দিতে হচ্ছে না। আবার কাজও হচ্ছে৷ বিশ্বজোড়া নামও হয়েছে৷

তবে প্রশ্ন উঠছে পশু প্রেমীদের পক্ষ থেকে৷ এভাবে কি ব্যবসার কাজে দিনরাত বানরদের ব্যবহার করা উচিত? সেসব কিছুই জানে না ওয়েটার বানরেরা৷ মালিকের নির্দেশে লাফ দিয়ে গ্রাহক সেবা করেই তার আনন্দ পায়৷



মন্তব্য চালু নেই