অবাক হবেন, না ভয় পাবেন? পাথরের মূর্তি থেকে কান্না হয়ে বের হয় রক্ত! (ভিডিও)

মৃৎ শিল্পের এক অন্যতম সৃষ্টি হচ্ছে মূর্তি। শিল্পী তার সমস্ত কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নিখুঁত ভাবে তৈরি করে পাথরে বা মাটিতে গড়া মূর্তি। মূর্তির সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে তাই এই অদ্ভুত শিল্পকে মানুষ তার নিজের সম্পদে পরিণত করতে চায়, তাই দামি অর্থের বিনিময়ে এই মূর্তি নিজের ঘরে স্থান দেয়। কিন্তু হটাৎ এই পাথরের মূর্তি যদি মানুষের মতো আচরণ করে তাহলে আপনি কি করবেন। অবাক হবেন না ভয় পাবেন? নাকি মনে হবে দূর এ আবার হয় নাকি।

কিন্তু অদ্ভুত এই ঘটনা কিন্তু ঘটেছে বহু আগে জাপানের আকিতা শহরে। আকিতা শহরের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা কুমারী মেরির একটি মূর্তি তৈরি করেছিল অনেক বছর আগে। ১৯৭৩ সালে ২৮ শে জুন আগনেস সাসাগাওয়া নামের এক নারী মূর্তির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল হটাৎ সে লক্ষ্য করলো মূর্তিটির বাম হাত নড়ছে, আকস্মিক এই দৃশ্য দেখে প্রচণ্ড ভয় পেলেন তিনি, যা দেখেছে তা সত্যি কিনা যাচাই করার জন্য আবার তাকালেন মূর্তিটির দিকে, না ভুল হয়নি তার বাম হাতটা সত্যি নড়ছে। এই অস্বাভাবিক ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পর প্রচণ্ড ভয় আগনেসকে গ্রাস করলো সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে পরলেন তিনি।সুস্থ হওয়ার পরও তার ঘোর কাটলো না। আবার গেলেন সেই মূর্তির সামনে দেখলেন নতুন এক দৃশ্য। এইবার আর হাত নড়ছে না বরং ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরছে! অবাক হলো আগনেস। এরপর ২৯ শে সেপ্টেম্বর তিনি আবার এলেন মূর্তিটির সামনে আর তখন আর এক নতুন দৃশ্যের অবতারণা হল। এবার আর হাত না, গলার সামনের অংশটুকু অনবরত কেবল ঘামছে।

akita

কাহিনীর সমাপ্ত বোধ হয় এখানে হলে ভাল হতো কিন্তু তা হয়নি কারণ ১৯৭৫ সালের ৪ই জানুয়ারী ঘটে আরেকটি বিস্ময়কর ঘটনা। পাথরের মূর্তিটি এইবার কান্না শুরু করলো তাও আবার মানুষের মতো এক দিন, দুই দিন নয় এইভাবে ১০১ টি বিভিন্ন উৎসবে সময় কেঁদেছে মূর্তিটি তাও আবার ৬ বছর ৮ মাস অবধি !

এত অদ্ভুত ঘটনার পর অবশেষে বিজ্ঞানীদের নজরে এল মূর্তিটি, শুরু হল নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তারা যা বলেন তা শুনলে সত্যি পিলে চমকাতে হয়, আর তা হল অলৌকিকভাবে পাথুরে মূর্তিটি পরিণত হয়েছে রক্ত মাংসের মানুষে! আকিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক সাগিমাকা ব্যাপারটা গবেষণা করেন এবং আশ্চর্য তিনিও ঠিক একি কথা বলেন যে ওই পাথুরে মূর্তিটা কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলেই রক্ত মাংসে গড়া মানুষে পরিণত হয়েছে। মানুষের মতো তার শরীর বহন করছে প্রকৃত রক্ত, কষ্ট পেলে মূর্তিটি কাঁদতে পারে আবার প্রচণ্ড গরমে তার ঘাম বের হয়। সবই সত্যি ঘটনা! এরপর মূর্তিটির রক্ত পরীক্ষা করা হয় আশ্চর্য এই রক্তে তিনটি রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায় তা হল বি, এবি, এবং ও। আশ্চর্য এই মূর্তিটি এইসব কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ভিডিও:

https://youtu.be/ciTD4-Onjjk


 



মন্তব্য চালু নেই