অবিচল সুজানা

সুজানাকে জেরা করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের জেরার মুখেও মচকাচ্ছে না এই জঙ্গি নারী। সুজানার নয়, তাকে জেরা করতে গিয়ে ঘাম ঝরছে উল্টো পুলিশের। তদন্তকারীদের হরেক প্রশ্নে তার উত্তর একটাই ‘জানি না’। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

নাজেহাল গোয়েন্দাকর্তারা জানান, কোলের বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে বর্ধমান-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে ধৃত রাজিয়া, আলিমারা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু সুজানা সবেতেই অবিচল। তার সন্তানকে সময়মতো খাওয়ানো, ডাক্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাচ্চার খেলার সরঞ্জাম জোগাড় করে দিয়েছে পুলিশ। জেরার সময়টুকু ছাড়া বাচ্চার সঙ্গেই থাকছে সুজানা।

পুলিশ সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যে দু’একটা কথা অবশ্য সে বলছে। কিন্ত তা তদন্তকারীদের কাছে যথার্থ মনে হচ্ছে না।

সুজানার মোবাইল ফোনের তথ্য ঘেঁটে পুলিশ যা জানতে পেরেছে তা এ রকম- রাজিয়া ও আলিমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। ছোট অস্ত্র চালানোরও প্রশিক্ষণ আছে সুজানার। বর্ধমানে বিস্ফোরণের পরপরই সুজানাকে গুয়াহাটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে মেঘালয়ে পালায় শাহনুর।

তার মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ দেখে মেঘালয়ে হানা দিলেও অবশ্য শাহনুরের হদিস মেলেনি। পুলিশের আশঙ্কা, দক্ষিণ ভারত অথবা মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে শাহনুর। এ নিয়ে বিএসএফ, মেঘালয় পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।

আসামের বরপেটার চেনিমারিতে সুজানার স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ক্লাসে চুপচাপই থাকত সে। সুজানার বাবা গুয়াহাটিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ভাই পড়াশোনা করে গুয়াহাটিতে। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানায়, দু’মাস আগে মা মারা যাওয়ার পরে একবার সুজানা ওই গ্রামে গিয়েছিল। তার পর ফের উধাও হয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই