অবৈধ প্রেমের একি পরিণতি! নদীর ধারে প্রেমিকার দেহ, প্রেমিকের দেহ গাছের ডালে

জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের কাদোবাড়িতে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। অবৈধ প্রেমের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি এবং অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ‘তিস্তা’-র বাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকায় । তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কামিনী মন্ডল। তাঁর স্বামী উত্তম মন্ডলের সঙ্গেই থাকতেন তিনি।

অন্যদিকে বাঁধের অদূরে একটি বাড়ির পিছনে গাছের ডাল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুজিত ঋষি নামে আর এক ব্যক্তির দেহ। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার সঙ্গে সুজিতের যথেষ্ট মেলামেশা ছিল।

কাদোবাড়ি বাজারে কামিনীর চা-এর দোকানে প্রায়ই আসতে দেখা যেত তাঁকে। ওই দোকানের সামনেই ছিল সুজিতের সাইকেল রিপেয়ারিং-এর দোকান। এখান থেকেই তাঁরা সম্পর্কে জড়ায়। গতকাল রাতে এক অনুষ্ঠানে দু’জন একসঙ্গে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে তারপর আর বাড়ি ফেরেননি ওই মহিলা।

সুজিতের বাবার অভিযোগের তির কামিনীর স্বামী উত্তম মন্ডলের দিকে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, গতকাল গভীর রাতে তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে যান উত্তম মন্ডল। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি সুজিত। সকালে তাঁর দেহ পাওয়া যায় অন্য একটি জায়গার গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায়। ঠোঁটে আটকানো ছিল ব্লেড। উত্তম মন্ডল অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাত থেকে বউ বাড়ি ফেরেনি দেখেই সকালে থানায় যাই ডায়রি করতে’।

পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। যদিও প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে তারা মনে করছে, অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর ফলেই প্রাণ দিতে হয়েছে উত্তম এবং কামিনীকে।



মন্তব্য চালু নেই