অভিবাসীদের জন্য ‘দরজা’ বন্ধ করছে অস্ট্রিয়া

অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে অস্ট্রিয়া যেসব জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছিল, এখন সেগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে এসব ব্যবস্থা একসঙ্গে নয়, বরং ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। রোববার দেশটির চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেইম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে আয়লান নামে এক সিরীয় অভিবাসী শিশুর মৃতদেহ ভেসে আসে। ওই ছবিটি প্রকাশের পর অভিবাসী ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এর আগে রাজধানী বুদাপেস্টের প্রধান আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনটি বন্ধ করে দেয় হাঙ্গেরি। এর ফলে সেখানে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি অভিমুখী কয়েক হাজার অভিবাসী আটকা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে অভিবাসীদের জন্য হাঙ্গেরিসংলগ্ন সীমান্ত খুলে দেয় অস্ট্রিয়া। একই সঙ্গে এসব অভিবাসীদের অস্ট্রিয়া প্রবেশে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশটি। এর ফলে শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার অভিবাসী রাজধানী ভিয়েনায় প্রবেশ করে। এদের অধিকাংশই সেখান থেকে জার্মানির মিউনিখ শহরে চেলে গেছে।

রোববারই অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেইম্যান জরুরি ব্যবস্থাগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এটি প্রত্যাহার মানে হচ্ছে, আগে অভিবাসীদের জন্য সীমান্তে যেসব কড়াকড়ি ছিল সেসব পুনরায় কার্যকর করবে দেশটি।

ওয়ার্নার ফেইম্যান জানান, জার্মান চ্যান্সেলর অাঙ্গেলা ম্যার্কেল ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে রোববার টেলিফোনে আলাপ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি এটা ছিল জরুরি পরিস্থিতি, যেখানে আমাদের দ্রুত ও মানবিক পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি জটিল পরিস্থিতিতে আমরা ১২ হাজারের বেশি লোককে সাহায্য করেছি। এখন আমাদের আইন ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধাপে ধাপে জরুরি পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার করতে হবে, যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।’

এদিকে, জার্মানি জানিয়েছে, অভিবাসীদের ‘সাহায্য করার বিষয়ে তাদের যে ইচ্ছা, সেটি নিয়ে টানাহেঁচড়া করা যাবে না।’

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিবাসীদের জার্মানিতে প্রবেশের বিষয়ে সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটি ছিল ব্যতিক্রম। ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার জন্য যে আইন প্রচলিত রয়েছে, সেটি এখনো বলবৎ রয়েছে।

অর্থাৎ অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ সেসব দেশে আশ্রয়প্রার্থী হতে পারবেন না। ইইউভুক্ত যে দেশে তারা প্রথম পৌঁছেছিলেন, সেখানেই তাদের এ-সংক্রান্ত আবেদন করতে হবে ।



মন্তব্য চালু নেই