অযথা কাউকে হয়রানি করা যাবে না

রাজধানীতে ডাকাতি, দস্যুতা, খুন বা অন্য কোনো মামলায় নিরীহ লোককে অযথা হয়রানি অথবা হয়রানিমূলক শ্যোন অ্যারেস্ট না করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার ক্রাইম কনফারেন্সে উপস্থিত ৪৯ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ দেন। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ কথা জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘বিভিন্ন মামলায় সন্দেহজনকভাবে যাদের আটক করা হয়, পরবর্তী সময়ে তাদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। সাধারণ জনগণকে এসব (হয়রানি) আর করা যাবে না। তবে অপরাধ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’

কমিশনার আরো বলেছেন, ‘ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে অপরাধ বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ এখন থেকে একই সঙ্গে কাজ করবে।নগদ টাকা পরিবহণে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইলে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে সহায়তা করতে হবে।’

ক্রাইম কনফারেন্সে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ১৮ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার টানা পঞ্চম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ডিসির পুরস্কার পান। পাশাপাশি পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার এ বি এম জাকির হোসেন শ্রেষ্ঠ এসির পুরস্কার পান। গেন্ডারিয়ার থানার ওসি কাজী মিজানুর রহমান টানা তৃতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পান। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসি-তদন্ত ফিরোজ কবির টানা দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ পরিদর্শকের(তদন্ত) পুরস্কার পান। আর পল্লবী থানার এসআই রাসেল শ্রেষ্ঠ সহকারী পরিদর্শকের পুরস্কার লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে ক্রাইম কনফারেন্স শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কনফারেন্স চলে। সেখানে আরো কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।



মন্তব্য চালু নেই