অর্থ সংকটে সৌদি সরকার, বাড়ছে পানির দামও

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবে এবছরের বাজেট ঘাটতি নয় হাজার ৮ শ’ কোটি ডলারে গিয়ে পৌছেছে। এ ঘাটতি কমাতে সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করাসহ জ্বালানি খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এই লক্ষ্যে একইসঙ্গে কর এবং বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।

বাদশা সালমানের অধীনে প্রথম বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। অপরদিকে ব্যয় হয়েছে ধারণার চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

সৌদি সরকার বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় জ্বালানী তেল সহ অন্যান্য নিয়মিত নাগরিক সেবার উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেবে। কোনও কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে পেট্রোলের দাম শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত বাড়বে। দেশটিতে ডিজেল, বিদ্যুৎ এবং পানির দামও বাড়বে।

বিশ্লেষকদের মতে, এরপরও এই মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় সস্তাই থাকবে। অর্থনৈতিক নীতি না বদলালে সৌদি আরব আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে গত অক্টোবর মাসে সতর্ক করেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।

সালমান বলেন, এই বাজেটটি ঘাটতির কারণ তেলের দরপতন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে অস্থিরতা।

সোমবার সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের বাজেট পেশ করে বাজেট ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করে।



মন্তব্য চালু নেই