অশান্ত পরিবেশের জন্য দায়ী খালেদা : তোফায়েল

দেশে চলমান গুপ্তহত্যার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের আজকের অশান্ত পরিবেশের জন্য খালেদা জিয়া দায়ী।

তিনি বলেন, দেশে পুরোহিতকে হত্যা করা হয়, বেছে বেছে টার্গেট কিলিং করা হয়। যাতে প্রতিবেশী দেশ প্রতিক্রিয়া দেয়। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ কর্মসূচি নির্মূলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা সম্পূর্ণভাবে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করবো। খালেদা জিয়া অতীতে পরাজিত হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে দেশে চলমান গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী তৎপরতার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, উত্তরায় যে অস্ত্র পাওয়া গেছে তা যৌথবাহিনীর অভিযানের ফসল। দুষ্কৃতিকারীরা উপলব্ধি করেছে তাদের পথ সঠিক নয়। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অতি শিগগিরই দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসবে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ হারাম লক্ষাধিক আলেম স্বাক্ষরিত ফতোয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক লক্ষ আলেম ঐক্যবন্ধ হয়ে ফতোয়া দিয়ে বলেছেন- এ ধরনের জঙ্গি তৎপরতা ইসলামে নিষিদ্ধ ও হারাম। কিন্তু সেখানে খালেদা জিয়া জঙ্গিদের আড়াল করার জন্য প্রতিদিন ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে বক্তৃতা দিয়ে মূলত জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের পক্ষ গ্রহণ করে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়াকে হতাশ নেত্রী আখ্যায়িত করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইফতার পার্টিতে মানুষ আল্লাহর নাম নিয়ে মুনাজাত করে পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু খালেদা জিয়া গলা ফাটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমনকি শেখ হাসিনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। এটা তিনি হতাশা থেকেই এমন আচরণ করছেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের মডেল। কিন্তু তাতে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি এবং জামায়ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। পাকিস্তানি ভাষায় বেগম খালেদা জিয়া কথা বলেন।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্য নির্বাহী সদস্য আবদুর রহমান এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আশারাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি অপু উকিল, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই