অসংখ্য সুন্দরী আফগান মেয়েদের ‘দাসী’ বানিয়েছে পাকিস্তান!

প্রতি সপ্তাহে কাশ্মীরে ‘ভারতের অত্যাচার’ নিয়ে নিয়ে কথা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেনা অভিযানে নিহত জঙ্গিকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির উদ্দেশে গরম গরম ভাষণও দেন তিনি।

তবে তারই দেশের সেনা বালুচিস্তান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চূড়ান্ত যথেচ্ছাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বার সেই তালিকায় সোয়াট, ওয়াজিরিস্তান এবং খাইবার পাস্তুনখোয়া-ও ঢুকে পড়ল। আফগানিস্তানের এক পাস্তুন নেতার অভিযোগ, পাকিস্তানি সেনা কয়েক হাজার পাস্তুন সুন্দরী মেয়েদের বন্দি করে জঙ্গি ক্যাম্পগুলিতে দাসী করে রেখেছে। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

আফগানিস্তানের পাস্তুন নেতা উমর দাউদ খট্টাক দাবি করেছেন, পাক সেনা এই অঞ্চলগুলিতে অবাধে লুঠতরাজ চালায়। বাড়িঘর ভেঙে বাড়ির মেয়েদের বন্দি করে নিয়ে যায়। লাহোর-সহ দেশের বিভিন্ন জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলিতে তাদের দাসী হিসাবে রাখা হয়। খট্টাক বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের অনেক ভুল বুঝিয়েছে। এদের কথায় আর আমরা ভুলছি না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা পাস্তুনিস্তান লিবারেশন আর্মি গঠন করব এবং ওদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ভাবে মোকাবিলা না করলে পাকিস্তানি সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে না। আমি আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে আবেদন করছি, এই আন্দোলনে আমাদের সহায়তা করুন।’ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি ভিডিয়োতে খট্টাক দাবি করেন, পাকিস্তান হয়তো এই অঞ্চলের ওপর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তারা এতে ভয় পাবেন না।

পাকিস্তান এখন পরমাণু অস্ত্রের কালোবাজারে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং দেশকে এই অস্ত্র বিক্রি করছে পাকিস্তান। খট্টাক আরও জানান, পাক সেনার অত্যাচারে টিকতে না পেরে প্রায় ৫ লাখ লোক এই অঞ্চল থেকে পালিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। দিনের পর দিন এক একটি অঞ্চলে ঢুকে অবাধে লুঠ চালায় তারা। চোখের সামনে বাড়ির মহিলাদের সম্ভ্রমহানী করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই