অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের আইএস সমর্থন

অস্ট্রেলিয়ার কুখ্যাত চরমপন্থি মোহাম্মাদ এল্মারের স্ত্রী ফাতেমা এল্মার বিদেশী সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন গত বছর।

গত বছরের মে মাসে ৩১ বছর বয়েসি ফাতেমাকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এয়ারপোর্টে একটা আন্তর্জাতিক বিমানে উঠার পূর্বে আটক করা হয়। তার সাথে ছিল টাকা, ছদ্মবেশ ধারনের বিভিন্ন পোশাক সরঞ্জাম এবং ঔষধ।

আদালতের সংক্ষিপ্ত বিচারে তিনি বিদেশী মাটিতে আক্রমণ এবং বিরূপ পরিস্থিতি তৈরির করার মানসিকতা পোষণ করেন বলে দোষী সাব্যস্ত হন।

মোহাম্মাদ এল্মার ২০১৩ সালে প্রথমে সিরিয়া এবং তারপর ইরাক ভ্রমণ করেন বহুল প্রচলিত আইএস জঙ্গিদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য।

আদালতের তথ্যাদি থেকে দেখা যায়, স্বামী স্ত্রীর মাঝে সেলফোনে যে সমস্ত ক্ষুদে বার্তা আদানপ্রদান হয়েছে তাতে স্ত্রী ফাতিমা তার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য দেশে ফিরে আশার জন্য অনুনয় করছেন।

মোঃ এল্মার তার স্ত্রীর উদ্দেশ্য বারবার বলেছেন তার বাচ্চাদের পাসপোর্ট তৈরি রাখতে যাতে তারা সবাই একত্রে মিলিত হতে পারেন সিরিয়ার রাক্কাতে।

মোঃ এল্মার এবং তার সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক খালিদ শারুফ প্রথম সবার নজরে আসেন গত বছর যখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গলাকাটা মুণ্ডু সহকারে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। তার মধ্যে একটা ছবি ছিল খালিদ শারুফের সাত বছরের ছেলে একজন সিরিয়ান সৈন্যের গলাকাটা মাথা ধরে আছে।

ধারণা করা হয়, আইএসের স্বঘোষিত রাজধানী সিরিয়ার রাক্কাতে একটি গাড়ি বহরে জুন মাসে বিমান হামলার সময় মোঃ এল্মার মারা যান।

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একটি হিসাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রায় ১২০ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক আইএস এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মদত দিতে ইরাক এবং সিরিয়ায় অবস্থান করছেন।



মন্তব্য চালু নেই