অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের ভিন্নধর্মী ব্যবহার

রোগ প্রতিরোধ করা থেকে শুরু করে ত্বক এবং চুলের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দূর করে দিতে পারে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। চুলে খুশকি কিংবা ত্বকে ব্রণ ব্যবহার করুন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার সরাসরি ব্যবহার না করে পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের নানা ব্যবহার নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মাউথওয়াশের মত কাজ করে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুলকুচি করুন। সকালে দুর্গন্ধমুক্ত মুখ পেয়ে যান।

২। খুশকি দূর করতে

একটি পাত্রে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার নিয়ে নিন। এরপর একটি তুলোর বল তাতে ভিজিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে লাগান। এবার একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এই টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। দেখবেন এক মাসের মধ্যে খুশকি গায়েব হয়ে গেছে।

৩। গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া রোধে

এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এটি খাবার খাওয়ার আগে পান করুন। এটি বুক জ্বালাপোড়া গ্যাসের সমস্যা দূর করে দেবে।

৪। শাইনি স্বাস্থ্যোজ্বল চুলের জন্য

এক অংশ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং এক অংশ পানি একসাথে মিশিয়ে নিন। চুল শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিছুক্ষণ রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এটি চুল নরম কোমল এবং শাইনি করে তুলবে।

৫। হেঁচকি দূর করতে

খুব যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরক্তিকর একটি সমস্যা হল হেঁচকি। এই সমস্যার সমাধান দেবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করুন, দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

৬। সানবার্ন দূর করতে

গোসলের পানিতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই পানিতে হাত-পা চুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর গোসল করে ফেলুন। এটি নিয়মিত করুন।

৭। পরিষ্কারক হিসেবে

আধা কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এই মিশ্রণটি ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করুন।



মন্তব্য চালু নেই