আইএসই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি!

ইউরোপে এখন সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস। সেই সাথে হুমকি হিসেবে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং শরণার্থী সংকটও।

সোমবার প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত জরিপের ফলাফল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ইউরোপের ১০ দেশের নাগরিকদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও মেট্রোয় আইএসের হামলার পর শুরু হওয়া এ জরিপের অধিকাংশ কাজ গত এপ্রিলে শেষ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় (প্রকাশের অযোগ্য)দের একটি নৈশক্লাবে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার একদিন পর জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এই হামলার সঙ্গেও আইএসের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এ হামলার দায়ও স্বীকার করেছে।

১০ দেশের মধ্যে ৮টির নাগরিকরা বলেছে, ইসলামিক স্টেটকে তাদের নিজ নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে মত দিয়েছে। তবে ইসলামিক স্টেটকে হুমকির বিবেচনায় সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে স্পেন ও ফ্রান্স। স্পেনের ৯৩ শতাংশ এবং ফ্রান্সের ৯১ শতাংশ নাগরিক মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এ জঙ্গি সংগঠনকে ‘বড় হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

এ বিবেচনায় ব্যতিক্রম গ্রিস ও পোল্যান্ড। গ্রিসের ৯৫ শতাংশের বিবেচনায়, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট নয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা তাদের জন্য বড় হুমকি। গত ৭ বছর ধরে ইউরোপের এই দেশটি অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে উঠতে লড়ছে।

একইভাবে পোলিশদের দৃষ্টিতে বড় হুমকি শরণার্থী সংকট। দেশটির ৭৩ শতাংশ অধিবাসী যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইরাক থেকে আসা শরণার্থীদের বড় হুমকি বলে বিবেচনা করছে। তাদের বিবেচনায় দ্বিতীয় হুমকি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, সব দেশের অধিবাসীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিরতাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে এসব দেশের নাগরিকরা। একমাত্র বেশি বিভাজন দেখা গেছে শরণার্থী ইস্যুতে।

জরিপে অংশ নেয়া জার্মানির ৩১ শতাংশ এবং সুইডেনের ২৪ শতাংশ মানুষ শরণার্থীদের বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ইউরোপে আসা বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করেছে এই দুই দেশ।



মন্তব্য চালু নেই