আইএস বিরোধী অভিযানে যোগ দিচ্ছে জার্মানি

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে জার্মানি। জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সরকারের এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

শুক্রবার নিম্নকক্ষ বুনডেসটাগের ভোটে ৫৯৮ আইনপ্রণেতার মধ্যে ৪৪৫ জনই অভিযানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৬ জন, আর ভোটদানে বিরত ছিল ৭ জন।

এর আগে গত মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মন্ত্রিসভা আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দেয়। এবার পার্লামেন্টও এতে সায় দিল।

গত মাসে প্যারিসে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ফ্রান্সের অনুরোধে জার্মানির পার্লামেন্টে এ ভোট হল। মন্ত্রীদের ধারণা জার্মানিও এখন আইএস এর টার্গেট।

আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়ার মতো বিমান হামলা চালাবে না জার্মানি। তবে তারা আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে সামরিক সহায়তা করবে।

অভিযানের অংশ হিসেবে জার্মানি ছয়টি টর্নেডো জেট, একটি ফ্রিগেট যুদ্ধ জাহাজ যা ফ্রান্সের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার শার্ল দ্য গলের সুরক্ষায় কাজ করবে, জ্বালানী বহনকারী বিমান এবং ১২শ’ সেনা সদস্যকে সিরিয়ায় পাঠাবে।

এটি হবে বর্তমানে বিদেশের মাটিতে জার্মানির সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।

প্রাথমিকভাবে অন্তত একবছর এ অভিযান চলবে এবং এজন্য খরচ হবে ১৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সিরিয়াও এর প্রতিবেশী যেসব দেশে আইএস সক্রিয় সেসব দেশের সরকারের অনুমতিক্রমে জার্মানি তাদের সেনাদের সেখানে পাঠাবে। এছাড়া, ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল, উপসাগরীয় অঞ্চল, লোহিত সাগর এবং তৎসংলগ্ন সমু্দ্রে নজরদারির ব্যবস্থাও করা হবে।”

কুর্দিস পেশমেরগা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ইরাকের উত্তরাঞ্চলেও সেনা বাড়াবে জার্মানি। তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগানও দেবে তারা। কুর্দিস পেশমেরগা বাহিনী আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

এর আগে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ায় আইএস লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে।



মন্তব্য চালু নেই