আইনস্টাইনকেও হার মানাবে বাংলাদেশি এই বিস্ময় বালক!

চার বছর বয়সে একটি শিশু সর্বোচ্চ কী করতে পারে? তার পছন্দের খেলনাগুলো ভাঙতে পারে, মা-বাবার কাছে নতুন খেলনার জন্য আবদার করতে পারে। যদিও আইনস্টাইনের কথা ভিন্ন। তিনি তো চার বছর পর্যন্ত কোন কথাই বলেননি। আইনস্টাইনের বাবা-মা ভেবেছিলেন আইনস্টাইন মনে হয় বোবা হয়ে জন্ম নিয়েছে। চার বছর বয়সে স্যুপ খাওয়ানোর সময় গরম অনুভব হওয়াতে তিনি প্রথমবার কথা বলেছিলেন। আর আইনস্টাইনকে চেনে না এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়াই ভার।

আর যদি শোনেন সেই চার বছর বয়সেই কোনো শিশু ইংরেজি, জ্যামিতি, অ্যালজেবরা এবং রসায়নে সমান পারদর্শী তাহলে? ভাবছেন তা কিভাবে হয়? হ্যাঁ, সত্যি সত্যিই এই বিস্ময় বালকের নাম সুবর্ণ আইজ্যাক। স্কুলের বারান্দায় ও এখনো পা রাখেনি সে। ভবিষ্যতে আইনস্টাইন হতে চাইলেও, নামের মিল কিন্তু বিজ্ঞানী নিউটনের সাথে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি রাশেদুল বারি এবং শাহেদা বারির সন্তান সে।

সুবর্ণর বাবা জানান, হাসপাতালের বিছানায় সুবর্ণকে আমি বলি আমি তোমাকে মহাবিশ্বের সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি। তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস করে মহাবিশ্ব না বহুবিশ্ব? এই কথাটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি আরো জিজ্ঞেস করলাম, এন প্লাস এন সমান কত? সে বললো, টুএন। আমি বললাম,এন মাইনাস এন সমান কি হবে? সে বললো, জিরো। তখন বুঝলাম আমার এ ছেলের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

চার বছর বয়সে সুবর্ণ আবিষ্কার করেছে কিভাবে লিয়ন ব্যাটারির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এ দেখে বিস্মিত হয় খোদ দ্য সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট লিসা কইসো। তিনি নিজেই এই শিশুর পরীক্ষা নেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি অনলাইন টেলিভিশন টাইম টেলিভিশনে তার একটি স্বাক্ষাতকার ছাপানো হয়। এই স্বাক্ষাতকারে দেখা যায়, বিস্ময় বালক কলমকে একটি লাঠির মতো ধরে সমাধান করে যাচ্ছে একের পর এক কঠিন গণিত, জ্যামিতি, পদার্থ বিজ্ঞানের সমাধান। রাসায়নিক সংকেতগুলো কোন ভুল না করেই অনর্গল বলে যায়।

সুবর্ণর এই মেধার কথা জানতে পেরে ভয়েস অব আমেরিকার স্টুডিওতে তার আরো একটি পরীক্ষা নেয়া হয়। সেখানেও সে নির্ভূলভাবে সব রাসায়নিক সংকেতগুলো বলে যায়। একটি আপেল কেটে সে সহজে বুঝিয়ে দেয় এটম তত্ত্ব। পরমাণুর বিভাজন (ইলেকট্রন, নিউট্রন, প্রোটন) বর্ণনা করে সে।

সুবর্ণর বাবা গণিত শিক্ষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত আছেন। ছোটকালে বাবার কাছেই গণিতের কঠিন কঠিন সুত্রগুলো আয়ত্ত করে নিয়েছিল সে। সুবর্ণ সম্পর্কে লিসা কইসো বলেন, ‘সে যে টি-শার্টটি পড়ে আছে সেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। আমি নিশ্চিত সে খুব দ্রুতই আমাদের ছাত্র হবে। বিজ্ঞানী হয়ে সে দেশ ও জাতির উন্নতি করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমি অভিভূত।’

বিস্ময় বালকের মা শাহেদা বারি বলেন, ‘আমাদের সন্তানের মেধার জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের সন্তান ভবিষ্যত আইনস্টাইন।’

বিস্ময় বালকের বড় ভাই পড়ানোর সময় তার তুখোড় মেধার পরিচয় পায়। বাংলাদেশের সুবর্ণ একসময় বাংলাদেশের জন্য সম্পদ হবে এমনটাই আশা করেন দেশের সুশীল সমাজ। -বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই