আকাশকুড়ি নাউতারা নদীর উপড় ব্রীজ চায় এলাকাবাসী

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রত্যন্ত পল্লীর গ্রামীণ অববাহিকায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের চলাচল এখনও কষ্টকর। শুষ্ক মৌসুমেও হাটুজল ভেঁঙ্গে পারাপার হতে হয় এ অঞ্চলের মানুষদের। এই শুষ্ক মৌসুমে দু’শ গজ প্রস্তের নদীটি পার হতে সময় লাগে মাত্র ২/৩ মিনিট। অথচ স্বাধীনতার প্রায় ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এ গ্রামে মানুষের সুবিধায় নির্মিত হয়নি কোন ব্রিজ কিংবা সাকো।

বর্ষা মৌসুমে নদীটি জলে ভরপুর হয়ে যায়। ফুলে ফেঁপে উঠে। ফলে বর্ষার এ ২/৩ মাস দুইটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ এ নদী দিয়ে চলাচল করতে পারে না। এ কারনে তাদেরকে ঘুুরে যেতে হয় প্রায় ১০/১৫ কিলোমিটার রাস্তা। এতে সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে ২ ঘন্টা।

গত বৃহস্পতিবার ৫ জানুয়ারী সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমনি একটি চিত্র। দেখা গেল শুষ্ক মৌসুমেও নদীতে পানি থাকায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে তাদের নিজেদের বাঁশ কেটে নদীর উপড় নির্মাণ করেছে ছোট্ট একটি বাঁশের পুল। যা দিয়ে কোন রকম নদী পারাপার হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষজন।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের পেট কেটে বয়ে গেছে এই নাউতারা নদীটি। নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের সোজা উত্তরে পূর্ব আকাশকুড়ি ও পশ্চিম আকাশ কুড়ি (গাছবাড়ী) দুই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচলে করে এই নাউতারা নদীর উপড় দিয়ে।

পূর্ব আকাশ কুড়ি মডেল বাজার নামক স্থান থেকে সোজ পশ্চিম দিকে গাছবাড়ী ময়দানের ডাঙ্গা রাস্তাটির মধ্যে ভাগ দিয়ে বয়ে গেছে নাউতারা নদীটি। এলাকাবাসীর দাবী রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষ চলাচল করে। তাদের দাবী পূর্ব আকাশ কুড়ি মডেল বাজারের মাত্র ২’শ গজ পশ্চিমে নাউতারা নদীর উপড় একটি ব্রীজ কিংবা সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সাধারণ মানুষের চলাচল হত নির্বিগ্ন। গ্রাম দুইটি থাকতো না আর অবহেলিত।

গাছবাড়ী এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ অহিদুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের প্রাণের দাবী ছিলো নদীটির উপড় একটি ব্রীজ নির্মাণের। অনেকেই ইউপি নির্বাচনসহ বিভিন্ন নিার্বচনে জন প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি দীর্ঘনেও।

তিনি আরো বলেন, গাছবাড়ী ও আকাশকুড়ি গ্রামের মানুষের এ দাবী এখনও জনপ্রতিনিধিদের কাছে রয়েছে। কিন্তু কবে হবে এ ব্রীজ ? এর নিশ্চয়তা দেওয়া খুবই কঠিন। আকাশকুড়ি গ্রামের মানুষ ব্রীজ চায়। জনপ্রতিনিধিদের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায়।



মন্তব্য চালু নেই