আগামী বছর ১.৩০ কোটি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে

আগামী বছর থেকে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ৭৫ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। আগামী বছর থেকে ৫২ লাখ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমাগীতে কোন শিক্ষার্থী এই সুবিধা থেকে বাদ পড়বে না। সকলেই এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।

নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র মাধ্যমে সরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ‘মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫লক্ষ নিরক্ষরকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হবে।

এ কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য দেশের সকল পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান, সুশিল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানান তিনি।।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বদ্ধপরিকর।

প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্বে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাক্ষরতার কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর কর্তৃক ৮ সেপ্টেম্বর-কে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ওসমানীস্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং এ প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা ও ভিশন ২০২১-এ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।

এমনকি বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।



মন্তব্য চালু নেই