‘সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল সংস্কার হবে’

আগামী মাসেই পে-স্কেল : অর্থমন্ত্রী

সরকারি চাকরিজীবীদের বহুল প্রত্যাশিত নতুন বেতনকাঠামো (পে-স্কেল) আগামী মাসে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রবিবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবকিছুই চূড়ান্ত, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পরে পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন পাবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকার কারণে নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হতে দেরি হচ্ছে। সরকার যখন নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করুক না কেন জুলাই মাস থেকেই সরকারি চাকরিজীবীরা এরিয়ার পাবেন। তবে ভাতা কার্যকর হবে আরও পরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত বেতন কমিশন গত ২১ ডিসেম্বর যে প্রতিবেদন দিয়েছিল তাতে ১৬টি গ্রেডে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে পাঁচ সদস্যের সচিব কমিটির সুপারিশে আগের মতো ২০টি গ্রেড রাখার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।

আগের বেতন কাঠামোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের বেতন ও চাকরি কমিশন (অষ্টম কমিশন) গঠন করা হয়েছিল গত বছরের ২৪ নভেম্বর। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ১৩ মাস পর তারা প্রতিবেদন দেন।

ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নতুন কাঠামো কার্যকর করতে সরকারের বেতন বাবদ খরচ বাড়বে ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

সচিব কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই চূড়ান্ত কাঠামো অনুমোদন করা হলে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হবে মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি। আগের কাঠামোতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা এতোদিন সর্বনিম্ন ৪,১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ‘বেসিক’ ধরে বেতন পেয়ে আসছিলেন।

এর সঙ্গে তারা পাচ্ছেন মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা, যা ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়। নতুন কাঠামোতে বেতন দেওয়া শুরু হলে এই মহার্ঘ্য ভাতা বিলুপ্ত হবে।



মন্তব্য চালু নেই