আগে পশ্চিমবঙ্গ, পরে বাংলাদেশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আগে তো আমাদের বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) মানুষের কথা ভাবব। তারপর যদি আমাদের বাংলার মানুষ পানি পেয়ে বাকি থাকে, তবে নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে পানি দেয়া হবে।’ গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাজ্যের কোচবিহার জেলায় প্রশাসনিক সফরে গিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মমতা এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে ভালোবাসি। আমরা বাংলাদেশকেও ভালোবাসি। বাংলাদেশকে তো আমরা এর আগে ফারাক্কার পানি দিয়েছি। এবার পানি দেবো না বলিনি। বলেছি, তিস্তার বদলে অন্য নদীগুলো নিয়ে আলোচনা হোক। আগে তো আমার বাংলার মানুষের কথা ভাবতে হবে। আমার এখানকার মানুষ পানি পেয়ে যদি বাকি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে পানি দিতে আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আমাদের রাজ্যের কথা, আমাদের রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রাখতে হবে সবার আগে।’

মমতা আরো বলেন, ‘তিস্তায় এমনিতেই পানি নেই। তাই আমাদের রাজ্যের স্বার্থ পূরণ হয়ে পানি বাঁচলে সেই পানি নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে দেয়া হবে।’ এ সময় তিস্তার বদলে বাংলাদেশকে তোর্সা ও মানসাই নদীর পানি নিতে আলোচনা করার আহ্বান জানান মমতা।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালেই তিস্তার পানি দেয়া নিয়ে তার আপত্তির কথা জানান মমতা। তিস্তার বদলে তিনি তোর্সাসহ উত্তরবঙ্গের বাকি নদিগুলি থেকে পানি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সে সময় মমতা বলেছিলেন, ‘একটা বিকল্প প্রস্তাব সবাইকে ভেবে দেখতে বলেছি। তোর্সা, মানসাই, ধানসাই, ধলরা এই ছোট ছোট নদী বাংলাদেশের সঙ্গে মেশে। আমরা চাই বাংলাদেশ পানি পাক।’ আর তিনি যে নিজের আগের অবস্থানেই অনড়, তা গত সোমবার ফের বুঝিয়ে দিলেন মমতা।

এদিকে নয়াদিল্লি সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিস্তা সমস্যা কেবলমাত্র আমার সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকারই করতে সক্ষম হবে। যতশিগগির সম্ভব তিস্তার পানি বন্টন সমস্যার সমাধান হবে।’



মন্তব্য চালু নেই