আগৈলঝাড়ায় শিশু অপহরনকারী সন্দেহে মেয়ে জামাতাকে গণধোলাই

পূর্ব বিরোধের কারণে রাতের আধাঁরে শ্বশুড়বাড়িতে লুকিয়ে নিজের শিশু সন্তানদের দেখতে গিয়ে অপহরনকারী সন্দেহে গণধোলাই খেয়েছেন জামাতা কালাম বেপারী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামে। গুরুতর আহত কালামকে শনিবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার চাউকাঠী গ্রামের আক্কেল বেপারীর পুত্র কালাম বেপারীর সাথে দীর্ঘদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী দত্তেরাবাদ গ্রামের জব্বার ফকিরের কন্যা শিউলী বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে দাম্পত্য কলহের কারণে সন্তানসহ দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়া শিউলী অতিসম্প্রতি স্বামীকে না জানিয়ে সন্তানদের বাবার বাড়িতে রেখেই সৌদি আরবে পাড়ি জমান।

এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। শুক্রবার রাতে সন্তানদের দেখতে কালাম চুপিসারে শ্বশুরবাড়িতে আসে। একপর্যায়ে কালামের সহযোগী সিরাজ বেপারী, বাবুল হোসেন, জামাল উদ্দিন, আবুল কালাম ও দুলাল বেপারী কৌশলে কালামের আট বছরের কন্যা কনা খানমকে নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্ঠা করেন।

এসময় শিশু কন্যার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে শিশু কনাকে ফেলে রেখে সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রাতের আধাঁরে জামাতা কালামকে গণধোলাই দিয়ে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত কালামকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা ও পরে শনিবার রাতে মুর্মুর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।



মন্তব্য চালু নেই