আজও আবু বকরের ভাগ্যে জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা

আজও আবু বকরের ভাগ্যে জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। আবু বকর (২৮) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে। সে ১৯৯৫ সালে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে।

সহায়-সম্বলহীন আবু বকরের মাতা রহিমা বেগম (৭০) ছেলেকে বাচাঁতে ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেয়। রহিমা বেগম তার প্রতিবন্ধী ছেলে আবু বকরকে একটি হুইল চেয়ারে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। রহিমা বেগম জানায়, তার প্রতিবন্ধী ছেলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা’র জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি।

এছাড়া রহিমা বেগমও পায়নি একটি বিধবাভাতা বা কোন বয়স্কভাতা’র কার্ড। রহিমা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের কাছে ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা চাইতে গেলে তিনি ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে না পারায় আজও আবু বকরের ভাগ্যে জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা।

৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের কাছে কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব তথ্য দেন বৃদ্ধা মা রহিমা বেগম। সে বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। রহিমা বেগমের আকুতি তার ছেলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড হবে কি? হাতিবান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা চাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই