আজব যতো আইন

কোনো দেশে যাওয়ার আগে ভ্রমণ পিপাসুদের ওই দেশের আইনকানুন সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা থাকা উচিৎ। সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সব দেশের আইন কাছাকাছি পর্যায়ের হলেও অনেক দেশেই রয়েছে আজব কিছু আইন। আর এগুলো জানা না থাকলে নির্ঘাত বিপদে পড়তে পারেন। আর সেই সঙ্গে মাটি হয়ে যাবে সাধের বিহার। এমন কিছু আইন জেনে নিন:

১. ইলেকট্রিক বাতি পরিবর্তন করতে নিশ্চয়ই যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। চাইলে যে কেউ নষ্ট বাতিটি খুলে ভালোটি লাগাতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ ভিক্টোরিয়াতে অনুমোদিত ইলেক্ট্রিশিয়ান ছাড়া এটি পরিবর্তন করতে যাবে না। অন্যথায় আপনাকে জরিমানা গুণতে হবে ১০ অস্ট্রেলীয় ডলার।

২. গোমড়ামুখোদের জন্য ইতালির মিলান নিষিদ্ধ শহর। এই শহরের বাসিন্দাদের সবসময় হাসিমুখে থাকতে হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আর হাসপাতালে রোগী দেখা ছাড়া অন্য সময় গোমড়ামুখে থাকলে রীতিমতো জরিমানা গুণতে হয় এ শহরে।

৩. রাস্তায় আছেন, পেটে প্রচণ্ড বাতাসের চাপ। বায়ু ছাড়তে হবেই। কিন্তু তাতে রাষ্ট্রের কী? কাজটা আপনাকে সারতে হবে বিকেল ৫টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে! কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ৬টা থেকে পাবলিক প্লেসে বায়ু ত্যাগ করা অপরাধ।

৪. আপনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, ভালো কথা। তবে আজরাইলকে সংসদ এলাকায় আসতে নিষেধ করতে হবে। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এলাকায় মারা যাওয়া অপরাধ বলে বিবেচিত। ২০০৭ সালে এটি ব্রিটেনের সবচেয়ে হাস্যকর আইন হিসেবে ভোট পেয়েছিল।

৫. যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে সন্ধ্যা ৭টার পর গাধাকে গোসল করানো অপরাধ।

৬. কানাডার সরকার দেশের জনগণকে সংস্কৃতিপ্রেমি করতে উদগ্রীব। এজন্যই বোধ হয় দেশটির রেডিও-টিভিতে প্রচারিত প্রতি পাঁচটি গানের একটি গাওয়া নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক।

৭. জাপানের সুমো কুস্তিগিরদের দেখে আপনার হয়তো মনে হবে জাপানিরা মোটু হতে পছন্দ করে। তবে আসল ব্যাপার কিন্তু বিলকুল উল্টো। কেবল সুমো কুস্তিগির ছাড়া অন্যদের মোটা হওয়া জাপানে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। ২০০৯ সালে একটি আইনে জাপানি নারী ও পুরুষদের কোমরের মাপ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, ৪০ বছরের উর্ধ্বে পুরুষদের কোমর ৩১ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না, আর নারীদের বেলায় সর্বোচ্চ ৩৫ ইঞ্চি।

৮. রাতের বেলা টয়লেট চেপেছে। খিঁচ মেরে বসে থাকুন। ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সুইজারল্যান্ডে রাত ১০টার পর টয়লেটে ফ্ল্যাশ করা বেআইনি। সরকার একে শব্দ দূষণ বলে গণ্য করে।

৯. সঙ্গে গাড়ি আছে। রাস্তাও বড়সড় আর ফাঁকা। বেশ ভালো গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছেন। মনের ভুলে ভালোভাবে পেট্রোল ভরেননি। মাঝপথেই তেল শেষ। জার্মানির অটোবাহন সড়কে এই কাণ্ড ঘটালে আপনাকে গুণতে হবে নগদ জরিমানা।



মন্তব্য চালু নেই