আট বছর পর সপরিবারে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া

কয়েক ঘণ্টা পরেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সফরকালে শারীরিক চিকিৎসা ও পরিবারের সকল সদস্যের সাথে দীর্ঘ আট বছর পরে ঈদ উদযাপন এবারের সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির বলেন, ‘সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। সাড়ে নয়টায় তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। লন্ডনে তিনি চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। এছাড়া বড় ছেলে ও ছোট ছেলের পরিবারের সাথে ঈদ পালন করবেন।’

শায়রুল কবির জানান, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতার এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গী হচ্ছেন।

আগামী ২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান দীর্ঘ আট বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানসহ লন্ডনে বাস করছেন। এছাড়া বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানেরা ইতোমধ্যে লন্ডনে পৌঁছে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

এদিকে চিকিৎসার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময়ে দলের তিন শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতে কোনো সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে দৈনন্দিন নির্দেশনা দেয়ার মতো কিছু হচ্ছে না। এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতারা দল সামলে নিবেন।’

তবে লন্ডনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হলে নিশ্চয়ই দলের জন্য ভালো হবে, এমন আলোচনা-সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরের সময় খালেদা জিয়া যেখানে থাকবেন, যেখানে যাবেন, সেখানেই তারা বিক্ষোভ করবে। বিএনপি নেত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হবে।

ইউকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন তিনি। আমরা তার প্রতিবাদ জানাবো। আগুন সন্ত্রাসী হিসাবে তাকে কালো পতাকা দেখাব।’

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের সময় বিএনপির করা বিক্ষোভ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। খালেদা জিয়ার সফরের সময় তারা বদলা নিতেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করবেন।

তবে ইউকে বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক সাবধান করেছেন, তার নেত্রীকে হেনস্তা করার যে কোনো চেষ্টা তারা প্রতিরোধ করবেন।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করলে, আমরা বসে থাকব না। আওয়ামী লীগের বোঝা উচিৎ পরিস্থিতি ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়াতে পারে।’

মালেক বলেন, তাদের বিক্ষোভ ছিল একজন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ব্যক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছিল না। খালেদা জিয়া এখন বিরোধী দলীয় নেত্রীও নন, এমন কি এমপিও নন।



মন্তব্য চালু নেই