‘আত্মহত্যার সংবাদ ফলাও করে প্রচার করবেন না’

আত্মহত্যা বিষয়ক সংবাদ ফলাও করে প্রচার না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মহত্যা একটি নেতিবাচক ঘটনা। এ ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা উচিত।’

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) সেমিনার হলে ‘আত্মহত্যা বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে পিআইবি।

পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, পিআইবির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ব্রাইটার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী জামান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিক অস্থিরতা, বৈষম্য বা অশান্তি থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। অনেক সময়ই দেখা যায়, গণমাধ্যম আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে তার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করে তাদেরও আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। এটা সাংবাদিকতার নীতির মধ্যে পড়ে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘গণমাধ্যমের উচিত- যে অস্থিরতা, বৈষম্য বা ভুলের জন্য মানুষ আত্মহত্যা করে, সেসব ভুলকে শোধরানোর পথ বাতলে দেওয়া। যেন আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিরা ভুল শোধরানোর জন্য মানসিক শক্তি পায়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনেও যদি কোনো নেতা ভুল করে, তা না শুধরে আবার ভুল করে, তাহলে তাকে রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল বলা চলে। এ ধরনের রাজনৈতিক আত্মহত্যা করেছেন বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া স্বাভাবিক রাজনৈতিক পথ ছেড়ে সন্ত্রাসবাদের রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছেন। এতে তিনি রাজনৈতিক আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছেন।’

খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা শর্টকার্ট পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যেতে চায়, যাদের বিরোধী দলে বসার সাহস নেই, তারাই ষড়যন্ত্রের পথ, সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়। নেতা যখন রাজনৈতিক আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, তখন রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠে। আর সে সময় দল বা গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা অস্বাভাবিক আচরণ করে, যেমনটি এখন করছে বিএনপির নেতারা।’



মন্তব্য চালু নেই