আত্রাইয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিয়ে-কাজি ও বর আটক

নওগাঁর আত্রাইয়েন ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত ওই ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে দিলেও মাঝ পথে এসে বাদ সেধেছে পুলিশ। তাই বাল্য বিবাহের কাবিন রেজিষ্ট্রির অপরাধে কাজি ও ধর্ষণের অভিযোগে বর এখন জেলহাজতে। চ্যাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার উপজেলার নওদুলী গ্রামে। তথ্যঅনুসন্ধানে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওদুলী গ্রামের ছিদ্দিকের কন্যা (১৪) নৈদীঘি হজরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে একই গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রাম্যভাবে তাদের উভয়কে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়। এদিকে মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ওই ইউনিয়নের কাজি এ বিয়ে রেজিষ্ট্রি করাতে অপারগতা প্রকাশ করলে র্পাশ্বর্বতী বিশা ইউনিয়নের কাজি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বিয়েটি রেজিষ্ট্রি করে। ঘটনাটি আত্রাই থানা পুলিশ জানতে পেরে রাতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রির অপরাধে কাজি আব্দুর রাজ্জাকসহ বর ও কনেকে আটক করে। এ ব্যাপারে মেয়ের ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে গত বুধবার আত্রাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃত কাজি আব্দুর রাজ্জাক ও বর মেহেদী হাসানকে গতকাল নওগাঁ জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ খান জানান, আমরা আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং মেয়েকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য নওগাঁ সিভিল র্সাজনের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই