আদালতের পথে খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বিশেষ অস্থায়ী আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি তার গুলশানের বাসা থেকে রাজধানীর বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। দুর্নীতির দুই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের এই অস্থায়ী আদালতে।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। ওই দিন তার উপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। জেরা শেষে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের তারিখ ১০ আগস্ট ধার্য করা হলেও অনুপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিএনপির নেত্রীর অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই