আদালতে খালেদা জিয়া

পাঁচ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হন তিনি। এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করবেন। তিনি (খালেদা জিয়া) তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বয়স এখন ৭০। তাই সব দিক বিবেচনায় আমরা আশা করি আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করবেন।

যাত্রাবাড়ী থানার পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ হওয়ার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গত ৩০ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া একই ঘটনায় চার্জশিট হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আরো একটি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে সমন দেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন তার পক্ষে সময় চাওয়ায় ১০ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া ওই মন্তব্য করেন।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ মে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দুটি রিট আবেদন খারিজ করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুয়ায়ী আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটিতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুলশানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে পেট্রলবোমা হামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই