আন্তর্জাতিকভাবে ২৫ মার্চ পালনে আবেদন করবে সরকার

একাত্তরে ২৫ মার্চ রাতে দোসরদের সঙ্গে নিয়ে পাকস্থানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর চালিয়েছে নির্মম বর্বরতা। ইতিহাসে এমন নৃসংশ হত্যাকাণ্ড অন্য কোনো জাতি দেখেনি। তাই শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদদের স্মরণ করতে এবং দোসরদের ঘৃণা জানাতে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বৃহস্পতিব দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাফ) এর জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাত্তরের মতো এখনো গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আর এতে জামায়াদ ও রাজকাররা মদদ দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর সেই ‘রাজাকারদের’ সঙ্গে দল গঠন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। বেগম জিয়াকে ঘষেটি বেগম মন্তব্য করে বলেন, ‘নবাব সিরাজদৌলার খুনিরা সম্মেলনে করে যেভাবে ক্ষমতায় ঘষেটি বেগমকে বসিয়েছে, তেমনি জামায়াতসহ সব খুনিরা সম্মেলনে করে খালেদাকে নেতা বানিয়েছে। খালেদা জিয়া বাংলার ঘষেটি বেগম হয়ে গেছেন।’

মুক্তিযুদ্ধে অভিযুক্ত ২৯১ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনার নাম এসে পৌঁছেছে। এদের নামে আরো তদন্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাদের বিচার করার উদ্যোগ নেয়া কথাও জানান তিনি।

এসময় শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কোনো কিছুই আদায় হয় না। যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে।’ নির্মাণ শ্রমিকদের মৃত্যুবরণে ক্ষতির টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করার কথাও জানান তিনি।

শ্রমিকদের ট্রেড ইউয়ন, বিমা দাবি, চিকিতসাব্যাবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি পুরুণে সরকারি উদ্যোগের নানাদিক তুলে ধরেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সাংসদ আলহাজ শফিকুল ইসলাম শিমুল, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহম্মদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহিদুল্লা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক।



মন্তব্য চালু নেই