আন্দোলনের বিকল্প নেই

দাবি আদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।

গণতন্ত্র নির্বাসনে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কখনোই কোনো কিছু অর্জিত হয়নি। তাই ৫ জানুয়ারিতে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।’

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নোমান।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা পরিষদ’ এ সভার আয়োজন করে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা কিভাবে সে আন্দোলন করব তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে সে আন্দোলনের কৌশল।’

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু এর উপযুক্ত জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়ালস আমাদের হাতে নেই। এক্ষেত্রে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণা করলে জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের নানা কীর্তি বেরিয়ে আসবে। দেশ, দেশের মানুষ ও সত্যের জন্য তা কাজে লাগবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাবির পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আকবর হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যা জানি না। একেক সরকারের সময় একেক সংখ্যা বের হয়। অথচ তাদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ হওয়া দরকার। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাচ্চারা কনফিউজড হয়ে যাবে।’

আলোচনা সভার মাঝে কেক কেটে জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়। গতকাল ১৯ জানুয়ারি ছিল জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই