আপনার নখে আর দাঁতে রয়েছে এই ধরনের সাদা দাগ? তাহলে এখনি স্বাস্থ্য নিয়ে সাবধান হোন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একথা খুব জোর দিয়েই বলেন যে, শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার প্রতিফলন ঘটে শরীরের বাহ্যিক নানা লক্ষণের মাধ্যমে। এমনকী কখনও কখনও এইভাবে পাওয়া যায় কোনও গুরুতর রোগের আভাসও। এরকমই আভাস মেলে দাঁত ও নখের উপর তৈরি হওয়া সাদা ছোপ ছোপ দাগের মাধ্যমে (উপরের ছবি দ্রষ্টব্য)। এই ধরনের দাগ কেন তৈরি হয়? সম্প্রতি মান্থলি হেলথ জার্নাল অফ টরোন্টোতে দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর।

নখের উপর সাদা দাগ: বলা হচ্ছে, অধিকাংশ সময়েই নখে এই ধরনের দাগ তৈরি হয় নখের উপর কোনও আঘাতজনিত কারণে। যাঁর হাতে আঘাত লাগছে, তিনি সবসময় টেরও পান না যে, আঘাত লেগেছে। কিন্তু পরে নখের উপর দেখা দেয় ওই সাদা দাগ। এছাড়া নখের উপর সাদা দাগের সৃষ্টি হতে পারে শরীরে জিংকের অভাবের কারণে। জিংকের অভাবের ফলে তৈরি হওয়া এই ধরনের দাগকে বলা হয় লিউকোনিচিয়া। জিংকের অভাবের কারণে আপনার শরীরে কোনও ক্ষত শুকোতে যেমন সময় লাগে, তেমনই মুখের ভিতর কিংবা অন্য কোনও স্পর্শকাতর জায়গায় দেখা দিতে পারে ঘা বা আলসার। এছা়ড়া জিংকের অভাবের ফলে দেখা দেয় নারী পুরুষের যৌন সমস্যা, এবং সর্দি-কাশির মতো রোগ। জিংকের অভাব মেটাতে ডিম, মাছ, দুধ, বিনস, বাদাম এবং মুসুর ডালের মতো খাবার অত্যন্ত উপকারী। কাজেই নখে যদি এই রকম সাদা দাগ দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায়, তাহলে অবিলম্বে এই সমস্ত খাবার খেতে শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

দাঁতের উপরে সাদা দাগ: বাচ্চাদের মধ্যে এই ধরনের দাগ হামেশাই দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাগ মিলিয়েও যায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের দাঁতে এই সাদা দাগ সাধারণ ভাবে এনামেল ঘটিত সমস্যাকে চিহ্নিত করে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগের ন‌াম এনামেল হাইপোপ্ল্যাসিয়া। এটা দাঁতের ক্ষয়ের প্রথম লক্ষণ।

দুর্ভাগ্যবশত এই রোগের কোনও ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ক্যালসিয়াম পাউডার দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে কিছুটা প্রতিকার সম্ভব, কিন্তু সবটা নয়। ফলে দাঁতের ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া অনেক সময়ে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের কারণেও দাঁতে এরকম সাদা দাগ দেখা দিতে পারে। তাকে বলা হয় প্লাক। এই প্লাকের সমস্যারও সমাধান করতে পারেন একমাত্র দাঁতের ডাক্তার।



মন্তব্য চালু নেই