আপনার সন্তান কতটুকু ধৈর্য্যশীল জেনে নিন এই পরিক্ষার মাধ্যমে

শিশুর মন মূলত কাঁদামাটির মতো, আপনি তাকে যে আকার দেবেন সে সেভাবেই গড়ে উঠবে। এ গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে শিশুর পরিবার। জেনেটিক হোম রেফারেন্স এর একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে ৫০% শিশু নিজের ভেতর ধারণ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায় তার পরিবারের জন্য। শেখার ক্ষমতা, মেশার ক্ষমতা, নিজের উপস্থিত বুদ্ধি প্রকাশ করার ক্ষমতা শিশু হারিয়ে ফেলে তার পরিবারের সম্পূর্ণ পরিচর্চার অভাবে।

ধৈর্য্যশীল হওয়ার ক্ষমতা:মানুষের নিজেকে প্রমাণ করতে সবার আগে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৈর্য্য। তাই আপনার সন্তানকে তৈরি করুন ধৈর্য্যশীল হিসেবে। সে কতটুকু ধৈর্য্যশীল তার থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় সে কতটুকু স্মার্ট। তাই শিশুকে বড় করে তোলার সময় মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো।

বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বৃদ্ধি:শিশুর সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক তার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করে। তার মনস্তাত্বিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাবা মায়ের ভূমিকা অনেক। তবে এসব ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা কিছুটা বেশি। একটি শিশুর জন্মের পরে সে তার মায়ের সাথে প্রথম সংযুক্ত হয়। আর মায়ের সাথে তার সম্পর্ক আরো গভীর হয় বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে। আপনি আপনার সন্তানের না বলা কথা যেমন বুঝতে পারবেন তেমনই আপনার অঙ্গভঙ্গী দেখে শিশু শিখবে নানা কিছু।

দলবেঁধে খেলা:শিশুটিকে তার সমবয়সীদের সাথে খেলতে বলুন। তাদের সাথে খেলার ছলে সে শিখবে অনেক নতুন কিছু। ছবি আঁকা, আনমনে গান করা, নানা রকম খেলার ছলে অভিনয় তাকে নতুন করে শেখাবে অনেক কিছু। তাছাড়া একসঙ্গে খেলার কারণে অনেকের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তার মধ্যে। সে বুঝতে শিখবে কোন পরিস্থিতিতে ঠিক কী করতে হয়?

ভিডিও কনফারেন্সিং:এখনকার সময়ে শিশু পর্যাপ্ত পরিসরে খেলার জায়গা পায় না। তাই খুঁজে নেয় অন্য মাধ্যম। তাই তার ছোট্ট হাতে খুব সহজেই জায়গা করে নেয় ট্যাব, মোবাইল ফোন আর ভিডিও গেইম। তবে এসব থেকেও আপনি তাকে স্মার্টভাবে নতুন নতুন বিষয় শেখাতে পারেন। আপনার হয়তো হাতে খুব সময় কম থাকে সন্তানের সাথে সময় কাটাতে কিংবা আপনি হয়তো তার থেকে দূরে থাকেন। সেক্ষেত্রে এটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে তাকে স্মার্ট ভাবে তৈরি করার।



মন্তব্য চালু নেই