আপনার সম্পর্কে প্রেম রয়েছে? না, পুরোটাই যৌন চাহিদা? বলে দেবে এই যন্ত্র…

‘‘লাই ডিটেক্টর’’-এর নাম শোনা। কিন্তু তা-ই বলে ‘‘ইমোশনাল ডিটেক্টর’’? বাজারে এসে গিয়েছে এই যন্ত্রও। কীভাবে কাজ করবে সেই যন্ত্র?

‘‘লাই ডিটেক্টর’’-এ ধরা পড়ে মিথ্যা কথা। তাতে বসিয়ে জেরা করলেই নাকি সাদা-কালোর পার্থক্য হয়ে যায় অনায়াসে। এইবার বাজারে চলে এল ‘‘ইমোশনার ডিটেক্টর’’।

কারও প্রতি আকর্ষণ বোধ করলে কী হয়? যাঁরা প্রেমে পড়েছেন, তাঁরা বিলক্ষণ জানেন। সেই ব্যক্তিটির কথা সর্বক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। নিজেকে নিজে ক্রমাগত প্রশ্ন করে চলা— ‘‘সে আমায় ভালবাসে তো?’’ কেমন হত, যদি এই প্রশ্নটির উত্তর পেতে দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করতে না হত? যদি অনায়াসেই জানা যেত, যাঁকে মন চাইছে, সে আদৌ ভালবাসে কি না? বা, সম্পর্কে হয়তো শরীরী উষ্ণতার অভাব নেই। কিন্তু তা কি অন্তঃসারশূন্য? তাতে কি মনের কোনও স্থানই নেই? যদি এই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যেত অক্লেশে?

ল্যাংকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বের করে ফেলেছেন এমন এক যন্ত্র যা ত্বক, হার্ট রেট এবং চোখের তারা পরীক্ষা করে বলে দেবে, কেউ আপনাকে আদৌ ভালবাসেন কি না। শুধু তা-ই নয়, এই ছোট্ট মেশিনটি জুড়ে দেওয়া যায় স্মার্টফোনের সঙ্গে। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এই
বিষয়টি এসে বাজারে আসছে।

তবে এই যন্ত্রের আগমনে রোম্যান্সের কি বারোটা বেজে যাবে? সেই উত্তরের অপেক্ষা, টেনশন, মন খারাপি গান— এ সবই তো রোম্যান্সের লক্ষণ! ভালবাসা যদি যন্ত্রই মেপে দেবে, তা হলে মন কী করবে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেউ হয়তো আপনাকে ভালবাসেন। কিন্তু তাঁর মেজাজ হয়তো তখন তিক্ত। তা হলে মেশিন কী করে সেই খোঁজ দেবে? আবার এ-ও হতে পারে যে, কারও হয়তো যথার্থই আপনাকে ভাল লাগে। কিন্তু ভালবাসার পর্যায়ে তিনি পৌঁছননি। তাঁর আর একটু সময় লাগবে। এই অবস্থায় যন্ত্র দিয়ে মাপতে গেলে গণনায় ভুল অনিবার্য। অনেকেই বলছেন, রহস্য না-থাকলে রোম্যান্সের রইলটা কী?

ফলে হবু প্রেমের আঁচ পেতে কেউ এই যন্ত্রের ব্যবহার করবেন, এমন আশা করা যাচ্ছে না। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এই যন্ত্র কাজে আসতেই পারে। এমন বহু ক্ষেত্রেই হয় যে, সম্পর্কে শরীরী উষ্ণতা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু তাতে মনের গভীরতা রয়েছে কি না, তার তল পাওয়া যাচ্ছে না। এই সব ক্ষেত্রে এই যন্ত্র কাজে আসতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই