আপনি কি বউয়ের কথায় ওঠেন-বসেন?

আপনি কি আপনার বউয়ের কথা উঠেন আর বসেন? এ জন্য বাইরে বন্ধু-বান্ধ বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খুবই লজ্জা পান? আবার ভাবছেন বউযেল কথা না শুনেই বা কি উপায়! আর বউয়ের কথা শুনলেই বা সমস্যা কোথায়? আপনার বউই তো। সে তো আর আপনার মন্দ চাইবে না। তাই নয় কি?

ভেবে নেওয়ার কারণ নেই যে, জ্ঞান দেওয়ার জন্য এই কথা বলা হচ্ছে। এই কথা বলছে একটি গবেষণা। আমেরিকার ভিএ গ্রেটার লস এঞ্জেলেস হেল্থকেয়ার সিস্টেমের পক্ষে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা বুএয়র কথা শোনেন, তাদের হৃদযন্ত্র অনেক ভাল এবং সতেজ থাকে। গবেষকরা বলছেন, ‘মেনিমুখো’ বলে কেউ খোঁচা দিলে, তা নেতিবাচকভাবে না-নেওয়াই ভাল। বরং, তাতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার বীজ।

গবেষক নাটারিয়া জোসেফ বলছেন, পুরোটাই করোটিড আর্টারির ব্যাপার। এই আর্টারি ঘাড় থেকে মস্তিষ্কে রক্তচলাচলে সাহায্য করে। এর সঙ্গে যুক্ত হৃদযন্ত্রের সমস্যা। গবেষকরা বলছেন, যারা বউয়ের সঙ্গে দিনরাত ঝগড়া করেন বা বউয়ের সঙ্গে খুব কম কথা বলেন, তাদের এই আর্টারি সঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাড়ে আট শতাংশ ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

মুক্তির উপায়? বলা বাহুল্য, বউয়ের কথা শুনুন। সঙ্গীটি খুশি থাকলে, আপনিও খুশি থাকবেন। খুশি থাকার অর্থ আপনার হৃৎপিণ্ড সচল রয়েছে। সময় বের করে স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করুন। প্রচণ্ড কাজের চাপে থাকলে সামান্য কয়েক মিনিট বের করে নিন। স্ত্রীকে ফোন করুন। চাপ কেটে যাবেই। খুব ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন? দু’জনে একসঙ্গে ব্যালকনিতে বসে চা খান, আড্ডা দিন। দেখবেন ক্লান্তি কোথায় ভাগলওয়া।



মন্তব্য চালু নেই