আফগানিস্তানে ২ ব্র্যাক কর্মকর্তা মুক্ত

অপহরণের ১৮ দিন পর অক্ষতভাবে ফেরত পাওয়া গেছে আফগানিস্তানে অপহৃত ব্র্যাকের দুই কর্মকর্তা আলহাজ শওকত আলী (৫০) ও সিরাজুল ইসলাম সুমনকে (৩৫)।

আর এ খবরে তাদের স্বজনদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

সুমন পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের এজেম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। অপরজন আলহাজ শওকত আলীর বাড়ি জেলার ফরিদপুর উপজেলার হাঙরাগাড়ি গ্রামে।

ব্র্যাকের ঢাকা অফিসের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার মাহবুবুল আলম কবির সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে তারা দুজনেই ছাড়া পেয়ে কাবুলে ব্র্যাকের অফিসে ফিরেছেন। তারা সুস্থ আছেন, তবে শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল। স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভোরে তারা অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়ে ব্র্যাকের কাবুল অফিসে ফিরেছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাজী শওকতের ভাই সরকার মোহাম্মদ আলী জানান, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ব্র্যাকের তরফ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল, ‘আজ একটা ভালো সংবাদ আপনারা পাবেন।’ কিন্তু কী সেই ভালো সংবাদ তা বিস্তারিত বলেনি। পরে সন্ধ্যায় আমাকে ফোন করে ব্র্যাক থেকে জানানো হয়, আমার ভাই হাজী শওকত সুস্থ দেহে উদ্ধার হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর আমার ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে ৩০ সেকেন্ডের মতো কথা হয়েছে। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমি জীবিত আছি’ এই বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের সবার মাঝে স্বস্তি ও আনন্দ বিরাজ করছে। এখন আমরা চাই আমার ভাইকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

অপরদিকে সিরাজুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী লতা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে উদ্ধার করা হয়েছে- এই খবর পেয়ে আমি খুবই খুশি। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফোনে কয়েক সেকেন্ড তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি শুধু আমাকে বলেছেন ‘আমি ছাড়া পেয়েছি, ভাল আছি, পরে কথা বলব।’ এরপর থেকে আবারো তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষায় আছি। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক, এইটুকুই চাই।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ আফগানিস্তানের কন্দুজ থেকে বাগলান এলাকায় যাওয়ার পথে অস্ত্রের মুখে ব্র্যাকের প্রধান প্রকৌশলী হাজি শওকত ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সুমনকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা।



মন্তব্য চালু নেই